নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
বাগমারার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। এসব পন্য বিক্রিতে সরকারের নির্ধারিত মূল কেউ মানছেন না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয় ও সীমিত আয়ের লোকজন। কাচা শাক সবজির সাথে তেল, চাউল, ডাল, আলু, রসুন, গরম মসলা, মাছ এবং গোস্তের দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তারা পাইকারি ও খুরচা বাজারে অতি প্রয়োজনীয় এসব পন্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে এখনই বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার কথা বলেছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় বলতে আলু পেঁয়াজ ডিমের দাম সরকার বেঁধে দিলেও তা মানছেন না কোন ব্যবসায়ী। পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা জানান, ষ্টোর গেট থেকে প্রতি কেজি আলু ৪৮-৫০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এর সাথে পরিবহন খরচ ও পচন বাদ দিয়ে খুরচা ব্যবসায়ীদের কাছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলার সালেহা ইমারত কোল্ড ষ্টোরের ম্যানেজার সাজ্জাদুর রহমান জুয়েল জানান, গত বছর আবহাওয়া ও রোগবালাই জনিত কারণে আলুর আশানুরুপ ফলন হয়নি। বাগমারায় তাদের স্টোর সহ অন্যান্য স্টোরে যে পরিমান আলু সংরক্ষিত আছে তা নতুন আলু উত্তোলন পর্যন্ত থাকবে না। ফলে আলুর দাম আবারও কিছু বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাগমারার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ সহ বেশ কিছু হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় সবখানেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ১০ থেকে ১৫ টাকা ও বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, হাট-বাজার গুলোতে নিত্যপন্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারন দিশেহারা। এখানে বন্যার প্রকোপ, উৎপাদনে খরচ বেশি সহ নানান অজুহাতে পন্যের দাম বাড়িয়েই চলেছেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বাগমারা সহ আশেপাশের এলাকায় নিত্যপন্যের দাম বেড়েই চলেছে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা স্বাধীন পন্যের মূল্য বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তা সাধারনের। তারা এই অনিয়ম নিরসনে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবী জানান। এ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের লোকজন। তাদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরানোর অবস্থা। এসব হাট-বাজার গুলোতে রসুন ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা থেকে বেড়েছে ১০০ টাকা। এছাড়া আগের ৪০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা। অপর দিকে দাম বৃদ্ধি পেয়ে ঢ্যারশ ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, ছোট বড় সব ধরনের লাউ ৪০ টাকা, করলা ১০০, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৮০ টাকা, কচুর লথি ও ঝিঙার কেজি ৫০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি রুই কাতলা ৩৫০ টাকা, শিং ৬০০, চিংড়ি ৯০০, কই ৪০০, সিলভার কার্প বড় সাইজ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম বলছেন, অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ আলু ডিম বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে দায় সারেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত তাহেরপুর পৌরসভা হাট বাজারে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের কোনো অভিযান বা বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা করতে দেখা যায়নি।