ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলায় উপজেলার বাজার গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতীর কিছু মাছ আসতে শুরু করেছে। মাছের সাজ গোছ দেখে মনে হয় তার গায়ে স্বর্নের প্রলেপ দেয়া হয়েছে বলে সমালোচনা করেন ভোক্তারা। বাজারে মাছ কেনার জন্য অনেক ভোক্তা থাকলেও তা ভোক্তাদের নাগালের বাহিরে বলে জানান তারা।
দৌলতখান মাছ বাজার মেঘনার পাড় ঘেষে, ওই বাজারে সবসময় মেঘনা ও সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছে ভরপুর থাকে। দামের দিক দিয়েও কিছুটা শা¯্রয়ী মুল্যে বেচা-কেনা হতো।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দৌলতখান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সম্প্রতি নদীতে মাছের আকাল দেখা দেয়ায় ওই বাজোরেও মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া। বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির কিছু মাছ দেখা গেলেও দাম সাধারণ ভোক্তাদের কেনার নাগালের বাহিরে। ভোক্তা হিরন জানান, ১ কেজি ওজনের ১টি ইলিশ মাছের দাম ৩ হাজার, ৭০০ থেকে-৮০০ গ্রাম ওজনের ১ কেজি ইলিশ মাছের দাম-২৫০০, তার নিচের প্রতি কেজি ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫০০ টাকা। নদীর পাঙ্গাশ প্রতি কেজি-১০০০, রিডা প্রতি কেজি ১৫০০, পোয়া প্রতি কেজি ৭০০, চুলের ডাটি-৮০০, ছুরকা প্রতি কেজি-৮০০, চাষের পাঙ্গাশ-৩০০, তেলাবিয়া-৩০০, রুই, মৃগেল, কাতাল-৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করে।
মাছ বিক্রেতা ফারুক ব্যাপারী জানান, মেঘনা ও সাগরে কোন মাছ পাওয়া যায়না। কিছু ইলিশ, রিডা, পোয়া, চুলের ডাটা, ছুরকা আরো ১ মাস আগের। এগুলো বরফ দিয়ে রাখা হয়েছিল। এখন মাছ ব্যবসায়ীরা আকালের সময়ে বেশী দামে বিক্রি করে। আমরা বেশী দামে কিনে বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। পুকুর আর খামারে চাষের মাছের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে মালিকেরা।
খামার মালিক বশার জানান, কোটি কোটি টাকা পুজি খাটিয়ে এখন মাছ চাষ করে লাভ করা জায়না। মাছের রেনু পোনার, খাবার ও লেবারের দাম বেশী। তার পরেও বাধ্য হয়ে মাছ চাষ করি, আর নদীর মাছের চেয়ে চাষের মাছের দাম অনেক কম। এই মাছ খেয়ে সাধারন মানুষেরা বেচে আছেন। নদীতে মাছ ধরা পরলে দাম কমে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.