ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় এক নারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নতুন চাকুরীতে যোগদানের দেড় মাস পরেও অবহ্যতি না নিয়ে সরকারি চাকুরীর সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামীর পরামর্শে নিয়ম না মেনে নতুন কর্মস্থলে না গিয়ে পূর্বে কর্মস্থলে থেকে সেখান থেকে বেতন ভাতাসহ সরকারী সকল সুবিধা গ্রহণ করে যাচ্ছেন। সরকারি চাকরির নিয়ম কানুন মানছেনা ওই শিক্ষিকা। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার সদর উপজেলার রাজাপুর ২০৬নং পশ্চিম মেদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। নিয়ম বর্হিভূতভাবে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করায় শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ফাতেমা আক্তার কয়েক বছর আগে ২০৬নং পশ্চিম মেদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ওই নারী শিক্ষিকা এনটিআরসি ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ভোলা নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের লেকচারার পদে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। যোগদানের বিষয়টি ২০৬নং পশ্চিম মেদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ও সংশ্লিষ্ট ওই দপ্তরের কাউকে না জানিয়ে অদ্যবধি বেতন-ভাতাদিসহ সকল ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহন করছেন।
সরকারি চাকুরীর বিধিমালা অনুযায়ী চাকুরীরত অবস্থায় নতুন চাকুরীতে যোগদানের ক্ষেত্রে পূর্বের চাকুরী থেকে একদিন পূর্বেই স্বহস্তে স্বাক্ষরিত দরখাস্তের মাধ্যমে অব্যহতি নিতে হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার জানান, এনটিআরসি'র ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের বাংলা প্রভাষক পদে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর যোগদান করি। কিন্তু আমার স্বামীর পরামর্শে বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কাউকে জানানো হয়নি। তবে আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলাম। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজে যোগদান করলেও এখনো বেতন হয়নি। তারপরেও আমার ভুল হয়েছে, আমি আজকেই রিজাইন দিয়ে দিবো এবং কলেজে বেতন হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন-ভাতাদি সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে দিবো।
এবিষয়ে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুজ্জামান বলেন, ফাতেমা আক্তার আমাকে ১০/১৫ দিন পূর্বে মুঠোফোনে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজে যোগদানের বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি তাকে আমার বিদ্যালয় থেকে অব্যহতি নিতে বললেও তিনি নেননি। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অসীম প্রসাদ বিশ্বাস বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।