শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শায় দাফনের ২ মাস পর আদালতের নির্দেশে তাসলিমা খাতুন(৩২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার(৩০ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাসলিমা একই গ্রামের নূর আহম্মেদের স্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন,শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নুসরাত ইয়াসমিন ও বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি টিম।উল্লেখ্য,গত ২৬ শে আগষ্ট ফযরের নামাজের জন্য ভোরে মসজিদে যায় তসলিমার স্বামী নুর আহমেদ ।নামাজ শেষে মসজিদে মুসল্লীদের সাথে মতবিনিময় শেষে বাড়ি এসে তিনি স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেন।পরে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখে সে খাটের উপর এক পা নিচে এক পা উপরে দিয়ে উপুড় হয়ে এবং মাথায় পিছনে উপর একটি বালিশ দিয়ে পড়ে আছে। পরে মাথা থেকে বালিশ সরিয়ে দেখে মাথায় একটি আঘাতের ক্ষত চিহ্ন।এসময় তাকে উল্টায়ে দেখে মুখমন্ডলে রক্ত নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং জিব একটু বের হয়ে আছে। তখন নুর আহম্মেদ চিৎকার করলে প্রতিবেশীর ছুটে এসে দেখে যে মারা গেছে।পরে পরিবারের চাপে পড়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তাকে দাফন করা হয়। পরে তিনি স্ত্রীর মৃত্যুটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় এটা হত্যা এবং হত্যাকারী তার আপন দুই ভাইপোর নাম উলেখ করে আদালতে মামলা করলে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত নির্দেশ দেন।