প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২৪, ৬:০৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ২:২৫ অপরাহ্ণ
বসত ঘরের সন্নিকটে মুরগীর খামার দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা আওয়ামীঃ দলীয় প্রভাবে প্রতিকার মেলেনি তিন বছরে
বিশেষ প্রতিনিধি ; দিনাজপুরের খনিজ শিল্পাঞ্চল মধ্যপাড়ার নিকট বর্তী পূর্ব রসুলপুরে বসত ঘরের সন্নিকটে মুরগীর খামারের বর্জ্যর দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কয়েকটি পরিবার। আওয়ামিলীগ দলীয় প্রভাবে তিন বছরেও প্রতিকার মেলেনি। গত কয়েক বছর ধরে দূর্গন্ধের মধ্যে দিয়েই দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এ দিকে খামার অপসারণের দাবিতে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সহ স্হানীয় প্রশাসনের নিকট একাধিক বার লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও মিলেনি কোন প্রতিকার। পরিবেশ দূষণের শিকার পরিবারগুলো জানান ২০১৯ সালে একই মহল্লার নিকট প্রতিবেশী বাসিন্দা আকবর আলীর ছেলে মোঃ নাসিরুল ইসলাম লেয়ার মুরগির পোল্ট্রি খামার তৈরি করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ ও বাঁধা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে মুরগির পোল্ট্রি খামার করে শ্রমজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ কে চরম বিপাকে ফেলেছে। এই মুরগির খামারের দূর্গন্ধে নিজ বাড়িতে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে অভিযোগ কারী হোসেন আলি এবং ইসরাফিলের বসত ঘরের মধ্য বর্তী স্হানে খামারটির অবস্থান। খামারের পাশেই একটা গর্তে মুরগির বিষ্ঠা রাখা হয়েছে এবং বিষ্ঠার গর্তে পানি জমে মাছি কিলবিল করছে আর দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্হানীয় বাসিন্দা মোঃ রবিউল ইসলাম জানান মুরগির বর্জ্যের দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যায় না। রোদ উঠলে বাতাসে দূর্গন্ধ আরো বেশি তীব্র ভাবে ছড়ায়। এ ছাড়াও মুরগির উচ্চ শব্দের কারণে রাতে আরামমত ঘুমানো যায় না। গৃহ বঁধু মোছাঃ হাছিনা ইসলাম বলেন দূর্গন্ধের কারণে বমি আসে এবং বর্ষাকালে ঘরের ভিতরে মাছি সহ অনেক নোংরা পোকা চলাফেরা করে। শুধু তাই নয় দূর্গন্ধ ও মুরগির উচ্চ শব্দের জন্য ছেলে মেয়েরা ঠিক মতো লেখা পড়া করতে পারছেনা। ঘরে বসে তৃপ্তির সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করা দুস্কর হয়ে গেছে। অসহনীয় পরিবেশের জন্য বাড়িতে আত্নীয় স্বজন আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারনেই ছেলে মেয়ের বিবাহ প্রদান জটিল হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে খামার টি বসত ভিটার অতি সন্নিকটে হওয়ার কারনে বাতাসে সর্বদা বাড়ি ঘরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এতে মানুষ বসবাসের উপযোগী পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে যা এ্যানিমেল ডিজেস রুল ২০০৮ এর খামার স্হাপনের শর্তাবলীর পরিপন্থি। নীতিগত ভাবে একটি মুরগির পোল্ট্রি খামার মনুষ্য বসতি থেকে দুরে ও নির্জন পরিবেশে হওয়ার বান্চনীয় তাই খামারটির পরিবেশগত দিক থেকে কোন বৈধতা নেই এবং রেজিষ্ট্রেশন বিহীন বিহীন খামার সরকারের বিধান লংঘনের সামিল তাই খামার টি সম্পুর্ন বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসনের লিখিত নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জনবসতি পূর্ণ এলাকায় খামার চলমান রাখা রহস্যজনক। সচেতন মহল লোকালয় থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে খামার সরিয়ে নেওয়ার জন্য জোর দাবি ওঠেছে।
এ বিষয়ে খামার মালিক নাসিরুল ইসলাম জানান বিভিন্ন জনকে ম্যানেজ করেই খামার চালাচ্ছি। আমাকে তো খামারের দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে মনে হয় না।
Copyright © 2024 সংবাদ প্রতিক্ষণ. All rights reserved.