আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির অফিসে হামলা, ককটেল বিস্ফোরন. ভাংচুর. অগ্নিসংযোগ, হুমকিসহ ভয়ভীতি দেয়া সংক্রান্ত নাশকতা সৃষ্টি মামলায় রেদোওয়ানুল ইসলাম (৩২) নামের এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রেদোওয়ানুল ইসলাম আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর দক্ষিণপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও চাঁপাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ৪ আগষ্ট বেলা ১১টায় আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী শান্তিপুর্ন ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতাকর্মি ককটেল, পেট্রোল শাবল ও লাঠি সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত দলবদ্ধ হয়ে উস্কানিমুলক স্লোগান দিয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্ঠি করে। হামলাকারিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিলা ও তারেক রহমানের ছবি ঘর থেকে বের করে তাতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিগ্নসংযোগ করে পুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় গত ২৫ আগষ্ট রাতে আদমদীঘি উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি মিজানুর রহমান বাদি হয়ে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের সাবেক এমপি সাইফুল্লাই আল মেহেদী বাঁধন, তার বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, তার মা জেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মনজু আরা বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫০জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রেদোওয়ানুল ইসলামকে গ্রেফতার করে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান।