দুলাল সরকার, সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের দাবীতে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় উপজেলার কামারপুকুর বাজার এলাকায় এই আন্দোলন করে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রায় ৫ ঘন্টার এই অচলাবস্থায় সড়কের দুইপাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। উপজেলা প্রশাসন এসে অনুরোধ করলেও আন্দোলনকারীরা অবরোধ কর্মসূচী স্থগিত করেনি। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগীতা নেয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী আলোচনায় বসেন। এই আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলাম, কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ আলাল। উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোতাহ হোসেন, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক ফোরামের সভাপতি হাজারীহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আল ফারুক একাডেমির প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, ল²ণপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম রেজা, কামারপুকুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমানসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা। আলোচনায় প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন কে বরখাস্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলে শিক্ষার্থীরা আশস্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেয়। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর সড়কে আটকে পড়া যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এই সময়ে গাড়ির যাত্রীরা অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়। উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সাথে কেলেংকারী করাসহ নারী ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কারণে তার অপসারণ দাবী করছে শিক্ষার্থীরা। তিনি ধর্ষণ মামলার কারণে দীর্ঘদিন সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। এই সুযোগে কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের প্রশ্রয়ে সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসেন দীর্ঘদিন নানা অনিয়ম দূর্নীতি করে চলেছে। কিন্তু গত ৩ বছর আগে তিনি আদালত কর্তৃক রায় নিয়ে এসে দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির প্রতিবাদের মুখে তিনি দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৬ আগষ্ট একটি পক্ষকে বিশাল অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসেন।