প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৯:০২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ৫:০২ অপরাহ্ণ
বন্দরে দুই দলিল লিখকের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ!
স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মনির হোসেন ও দবির হোসেন নামে দুই দলিল লিখকের বিরুদ্ধে বিনা রশিদে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। দলিল লিখক ও সাব রেজিষ্ট্রারসহ অফিস স্টাফদের না জানিয়ে দলিল প্রতি ১শ’ করে ২ মাসে প্রায় দেড়লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ঘটনায় শত শত দলিল লিখক গত রোববার অভিযুক্তদেরকে প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
বন্দর দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সদস্যরা জানান,গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তণের সুযোগে লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লিখক মনির হোসেন ও দবির হোসেনসহ গুটি কয়েক সদস্য মিলে দলিল প্রতি ১শ’টাকা করে নেয়। তবে কি কারণে বা কেন নেয় কারো তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো চাঁদা আদায় করে নেয়। দলিল প্রতি ১শ’ টাকা নেয়ার ব্যাপারে অন্যান্য দলিল লিখকরা জানতে চাইলে তাদেরকে কোন সদুত্তর দেন না। অপর এক দলিল লিখক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,মনির হোসেন প্রধান সত্যিকার অর্থেই আওয়ামীলীগের একজন দোসর। সে ২২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মুজাহিদ সরকার জনি এবং গোল হোসেনের মালিকানা অফিসে বসেই আওয়ামীলীগ সরকারের আমালে বিভিন্ন মিটিং করেছে।
বিগত সরকার পতনের আন্দোলনে থাকা ছাত্রদের বিরুদ্ধেও এরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে একাধিকবার। তাছাড়া বেআইনী কাজ করা দায়ের ইতোমধ্যে জনির লাইসেন্স বাতিলও করা হয়েছে। সেসবের তোয়াক্কা না করে জনি তার কর্মকান্ডে এখনো বহাল রয়েছে। আমরা দলিল প্রতি উঠানো যে ১লাখ ২১ হাজার টাকা পুঙ্খানুপুঙ্খু হিসেব চাই।
আমাদের দাবি,দলিল লিখকদের টাকা দলিল লিখকদের কল্যাণে যেন ব্যয় করা হয়। আমাদের অনেক দলিল লিখক ভাই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে আছে,কেউ মেয়ে দিতে পারছেনা তাদের কল্যাণে টাকাগুলো ব্যয় করা হোক। দলিল লিখক শরীফ উদ্দিন জানান,মনির আর দলিল প্রতি যে ১লাখ ২১হাজার টাকা এটা সত্য। আমাদের কেরানী সাহেবই এ কথা বলেছেন। আমরা এই দুইজনের বিরুদ্ধে বিচার চাই তারা এর আগেও খেয়েছে।
আমাদের সমিতির অফিস যখন কলাবাগ ছিল তখন গিয়াসউদ্দিনকে নিয়ে এই দবি সেলিম ওসমানের মাধ্যমে আমাদের নির্বাচনটা করতে দেয়নি। এ ব্যপারে অভিযুক্ত মনির হোসেন প্রধান বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে যে অপবাদ দেয়া হয়েছে তার বেমানান। আমাদের বিরুদ্ধে দলিল প্রতি ১শ’ টাকা করে চাঁদাবাজীর অভিযোগ অবান্তর।
এখানে আমাদের কোনকিছু করার সুযোগ নেই ৬জনের উপদেষ্টা কমিটি আছে তাদের সুষ্ঠু নেতৃত্বে সমিতির কার্যক্রম চলছে সেটা আপনারপা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন। অপরাপর অভিযুক্ত দলিল লিখক দবির হোসেন বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। দলিল প্রতি টাকা নিয়েছি এ ধরণের প্রমাণ করতে পারলে যা শাস্তি দিবে আমরা তা মাথা পেতে নিবো। এটা আমাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ষড়যন্ত্র মাত্র।
Copyright © 2024 সংবাদ প্রতিক্ষণ. All rights reserved.