নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ায় সড়কে চলাচল করা যানবাহন থেকে শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দের চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ নেতা কর্মীরা।

শুক্রবার সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিংড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি লাবু হাসান জনির নেতৃত্বে মিছিলটি হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছে। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে মিছিলকারীরা চলে যায়।

ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মিছিলের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায় অন্তত অর্ধশত জন বিক্ষোভকারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে মহড়া দিচ্ছেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা স্বীকার করে পৌর যুবলীগের সভাপতি সিএনজি সমিতির সভাপতি লাবু হাসান জনি বলেন, সিএনজি স্ট্যান্ডের (মালিক সমিতির) সভাপতি সেলিম রেজা ও সেক্রেটারি রঞ্জু আহমেদ এই দু'জন বছরের পর বছর সিংড়ার সিএনজি চালকদের চুষে খাচ্ছেন। তারা একটি সমিতি তৈরি করে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে। প্রতিটি সিএনজি থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ টাকা চাঁদা আদায় করে।

তিনি বলেন, সকল সিএনজি চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে এই মিছিলের আয়োজন করে। আমিও সেখানে ছিলাম। মিছিলে সকলের হাতে অস্ত্র থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার সমর্থকরা মনে করেছিল আমার উপর আক্রমণ হয়েছে, তাই তারা এগুলো দিয়ে এসেছিল।'

এবিষয়ে জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিংড়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু আহমেদ বলেন, আমাদের সরকার অনুমোদিত সমিতি। এতোদিন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন তারা (বিক্ষোভকারীরা) বিনা কারণে উস্কানি দিচ্ছে। প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মিছিল নিয়ে এসে আমাদের অফিস ভাংচুর করেছে, আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এখন আমি পালিয়ে আছি।

তিনি বলেন, এতোদিন কোনো সমস্যা ছিল না‌। সংসদ নির্বাচনে আমরাও নৌকার ভোট করেছি। আমাদের প্রতিবেশী স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় আমাদের আত্মীয়-স্বজন অনেকেই স্বতন্ত্রের পক্ষে ভোট করে। সেই রাগে তারা এমন কর্মকান্ড করছে বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, সিএনজি স্ট্যান্ডে টাকা তোলা নিয়ে এই ঘটনা ঘটে।

অস্ত্রসহ মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাঠি -সোটা নিয়ে মিছিলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পৌর মেয়র দুই পক্ষকে নিয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। এঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।#