নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :  রাজশাহীতে ঢাকঢোল পিটিয়ে কাটা ইলিশ বিক্রি করার কথা থাকলেও সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে করে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিম্নআয়ের মানুষের কাছে ইলিশের স্বাদ আর গন্ধ অধরা রয়েগেলো। অনেক মাছ বিক্রেতারা বলছেন কাটা ইলিশ বিক্রিতে লোকসান ও চাহিদা কম থাকায় তেমন ভাবে কাটা ইলিশ মাছ বিক্রি করছেন না তারা। তবে ইলিশ মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্যে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গতকাল শনিবার, ১২ অক্টোবর ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ১১০০ টাকায়, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ৭০০ টাকায় এবং এক কেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে। যার ফলে অনেক ক্রেতা ইলিশ কেনার আশায় বাজারে আসলেও খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। উল্লেখ্য,রাজশাহী নগরীতে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নগরীর সাহেববাজার মাছ বাজারে রাজশাহী মৎস্যজীবী সমিতির আয়োজনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। রাজশাহী ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দর আলী বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ইলিশ মাছের আকাশছোঁয়া দামের কারণে গরিব মানুষরা ইলিশ মাছ খেতে পারেন না। তাই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি যাতে সবাই সচেতন হতে পারে এবং তার ফলে যেন দুই পিস হলেও যেন গরীব মানুষরা ইলিশ মাছ খেতে পারে। এছাড়া পিস হিসেবে ইলিশ মাছ বিক্রি বিষয়টি মনিটরিং করা হবে। কোন মাছ বিক্রেতা সে নিয়মে মাছ না বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়ে ছিলেন তিনি।