আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর)॥ আজ থেকে ১৫ বছর আগে বিরল এত আলোকিত ছিল না। বিরল পৌরসভা ছিল না। আমাদের এতগুলো ইউনিয়ন ছিল না। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। আমাদের দারিদ্রতা ছিল। শতভাগ শিশু স্কুলে যেত না। ২০০৮ সালে এই যে দিনবদলের সনদ, দিনবদলের হাওয়া আমার বিরলে লেগে গেছে। সারাবাংলাদেশের মত বিরল বদলে গেছে।
এবারের নির্বাচনের মূল শক্তি হচ্ছে আমাদের নারী। আমাদের নারীরা একেকজন শেখ হাসিনা, একেকজন বেগম রোকেয়ার ভূমিকায় আছে। সাহসী নারীতে পরিণত হয়েছে বিরলের নারীরা। কারণ এই নারীদের সম্মান শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের কেউ দেয় নাই। ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে শিশুর জন্ম দেয় যেই মায়েরা, সেই মায়েরা জানে প্রসব বেদনা কি জিনিস। অথচ যখন শিশু স্কুলে যায়, তখন সেখানে মায়ের নাম লেখা যেত না, সেখানে পিতার নাম লিখতে হত। মায়ের কোন সম্মান ছিল না। শেখ হাসিনা নিয়ম করে দিয়েছেন, শেখ হাসিনা বলেছেন না আগে মায়ের নাম লিখতে হবে, আগে যেই মা জন্ম দিয়েছেন তার নাম লিখতে হবে। এই নিয়ম আগে কেউ করে দেয় নাই। এই সম্মান আগে কেউ দেয় নাই। আজকে এই সম্মান আমাদের নারীদেরকে শেখ হাসিনা করে দিয়েছেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ১মবারের মত বাংলাদেশে নারীনীতি ঘোষনা করেছেন। আজকে নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি বাংলাদেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছেন। নারীরা ট্রেন চালাচ্ছেন, বিমান চালাচ্ছেন, সমুদ্রে জাহাজ চালাচ্ছেন, নারীরা আজকে গবেষনায়, বিজ্ঞানে ব্যাপক সাফল্য রাখছেন। আজকে নারী জাগরণ তৈরী হয়েছে। নারীরা বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের মাঠ প্রশাসন থেকে শুরু করে বিচার বিভাগসহ সর্বত্র নারীরা ভূমিকা রাখছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পরে বলেছিল, আমাদের এই স্বাধীনতা মূল্যহীন হয়ে যাবে, যদি আমি এই ৭ কোটি মানুষকে খাওয়া দিতে না পারি। যদি আমার শিক্ষার, চিকিৎসার, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারি, যদি পরনের কাপড়ের ব্যবস্থা করতে না পারি, তবে স্বাধীনতা মূল্যহীন হয়ে যাবে। আমার বিজয়ের স্বাদ আমার জনগণ পাবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য ধ্বংস বিদ্ধস্ত একটি দেশকে তিনি ধীরে ধীরে করে স্বল্পোন্নত একটি দেশে পরিণত করছিলেন। এই সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এরপরে আমরা জেনারেলদের শাসন দেখেছি। জিয়া দেখেছি, এরশাদ দেখেছি, খালেদা জিয়া দেখেছি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা কেউ আমাদের আলোর পথ দেখাতে পারেন নাই। আমাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন আমাদের নেত্রী, বিশ্ব নেত্রী, মানবতার মা শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। এই বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করেছেন। আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঐ টুঙ্গিপাড়ায় ঘুমিয়ে কৃষ্ণচুড়ার নীচে ঘুমিয়ে আছেন। সেখান থেকে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তিনি দেখছেন আজকে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা হয়েছে। এ দেশে কেউ খেয়ে না খেয়ে থাকে না, বিনামূল্যে শিক্ষা পাচ্ছে, চিকিৎসা পাচ্ছে। কেউ কাপড়ের অভাবে থাকে না।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী বিরল উপজেলা শাখা আয়োজিত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী সমাবেশে দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের টানা চতুর্থবারের মত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বর্তমানে নৌপরিবহ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেন।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রমাকান্ত রায়, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোশারফ হোসেন, এ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম (পিপি), সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আজাদ মনি, লায়লা আরজুমান্দ বানু, উপজেলা আওযামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাধারন সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ১৪ দলীয় মহাজোটের নেতা হবিবর রহমান প্রমুখ।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.