ভোলা প্রতিনিধিঃ জেলার ৭ উপজেলায় এ বছর ১০৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাউৎসব শুরু হয়েছে। বিএনপির নেতারা প্রিিট মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মন্ডপ। প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপির পক্ষথেকে প্রতিটি মন্ডপে ২০ সদস্যের সেচ্ছাসেবী নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে,পাশাপাশি বিএনপির মোবাইল টিম প্রতিদিন পরিদর্শনে থাকবেন। মন্ডপগুলোতে সরকারি ভাবে বিতরণ করা হচ্ছে ৫০০ কেজি করে চাল।
গত কাল (১০ অক্টোবর) বৃহস্পকিবার মন্ডপ ঘুরে সরজমিনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুরিশ সুপার ও বিএনপির নেকারা।
এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মন্ডপগুলোর সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি মন্ডপ নিয়ে আসা হয়েছে পুলিশের নজরদারির মধ্যে। জোরদার করা হয়েছে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার সাহা জানান, চলতি বছর জেলায় ১০৬টি মন্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায়-২৭,বোরহান উদ্দিনের-২০,দৌলতখানে-৮,লালমোহন-১৬, তজুমদ্দিনের-১৫, চরফ্যাশনে-৯ ও মনপুরায়-১১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন শুরু হহয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমাদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে তারা তারা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। পামাপাশি জেলা ও উপজেলা বিএনপি তাদের পক্ষ থেকে সেচ্ছাসেবী নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিযে নেতারা মোবাইল টিম করেপ্রতিটি মন্ডপ পরিদর্শন করছেন।
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় পূজা উদযাপনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি মন্ডপে একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রত্যেক মন্ডপে ১০ জন করে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক কাজ করে। সরেজমিনে শহরের ১ নং ওয়ার্ড এলাকার বাপ্তা শ্রী শ্রী শক্তি সংঘ দূর্গা মাতার মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় আয়োজকদের ব্যস্ততা। প্রতিমায় রং তুলির কাজ শেষ করে সকল প্রস্তুতি নিয়ে উদ্ধোধনে ব্যস্ত। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেনু পাল বলেন, এখানে প্রতিমা তৈরী, সাজসজ্জাসহ সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। মন্ডপে পুলিশের টহল,ডিউটি অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির নেতারা ও কর্মীরা পরিদর্শনে রয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, ইতোমধ্যে মন্ডপগুলোতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজায় থাকছে জেলা পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স, মোবাইল ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স ও গোয়েন্দা তৎপরতাসহ চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন,আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপগুলোর জন্য চারজন পুলিশ ও ৮ জন আনসার সদস্য থাকবেন। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপের জন্য তিন জন পুলিশ, ৬ জন আনসার এবং সাধারণ মন্ডপগুলোর জন্য দুইজন পুলিশ ও ৬ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। উৎসব ও আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা চলছে। এ লক্ষ্যে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে জেলা পুলিশ।
ভোলার বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শন করলেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
স¤প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির নেতৃবৃন্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। দুর্গা উৎসব বাঙ্গালির উৎসব। এটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। সারা ভোলায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পৌর শহরের সার্বজনীন কেন্দ্রীয় পূজা মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুর আলম, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আসিফ আলতাফ, সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন,আঃ রব আকন। মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে নেতারা,মন্ডপের পূজারী, পূজার আইন শৃংঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন। পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম এবং আহবায়ক আসিফ আলতাফ বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করবে। আমরা আশা করি আপনাদের এই আনন্দ-উৎসব সুন্দর ভাবে পালন করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি ও থাকব। ৫ দিনব্যাপি দুর্গা উৎসব আমাদের নেতৃবৃন্দ আপনাদের সার্বিকভাবে সহযোগীতা করবে। যাহাতে আপনাদের দুর্গা উৎসব কোন সমস্যা না হয়। এসময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।