নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
আর মাত্র দুই দিিন পরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই মহোৎসবকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্ততি। এরই মধ্যে অধিকাংশ মন্ডপে শেষ হয়েছে প্রতিমার নির্মাণ কাজ। মৃৎশিল্পীরা এখন রঙ-তুলির আঁচড়ে সাজ-সজ্জা ও প্রতিমার সৌন্দর্য বর্ধণে ব্যস্ত সময় কাটছে। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক খরাতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিক্ষরা বাহিনী সর্বক্ষণ টহল থাকবে।এছাড়া যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা ও স্হানীয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। জানাগেছে,অনেক পূজা পার্বনের রীতি থাকলেও শারদীয় দূর্গাপূজাই বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী মধ্যদিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। বারো মাসে তের পর্বণ কথাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য প্রচলিত থাকলেও শারদীয়া বা দূর্গা পূজাই বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রথম শুরু হয় বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার রাজবাড়ির গোবিন্দ বাড়ীর দূর্গা মন্দিরে। ৫৪১ বছর আগে সম্রাট আকবরের শাসনামলে রাজা কংস নারায়ণ সে সময় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু করেন সোনার তৈরী এই দুর্গাপূজা। তাই দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল হিসেবে গর্ববোধ করেন তাহেরপুরের অধিবাসীরা। তবে শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দিন রাত সমানতালে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাহেরপুরের মৃৎ শিল্পীরা। ইতিমধ্যে প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরপর শুরুে হয়ছে রংতুলি ও সাজসজ্জার কাজ। পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, মহাষ্টমী পালিত হবে ১১ অক্টোবর। মহানবমী পালিত হবে ১২ অক্টোবর। বিজয়া দশমী পালিত হবে ১৩ অক্টোবর। এদিন বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।