আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর): দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সদস্য এবং বিরল উপজেলা বিএনপি’র প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আক্কাশ আলী বাদী হয়ে বিরলের ফরক্কাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুসেন আলীসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ জনের বিরুদ্ধে বিরল থানায় দায়েরকৃত মামলায় থানা পুলিশ গত ২ দিনে এজাহারনামীয় এক আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে। আটকটৃতরা হলেন- তেঘরা সরকারপাড়া গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন এর ছেলে আব্দুস সালাম লিটন (৫৮), বিরল পৌরশহরের ব্রহ্মপুর গ্রামের মৃত মাহাবুর রহমান এর ছেলে সহিদুল ইসলাম (৩৪), শংকরপুর গ্রামের মৃত আহমেদ আলী এর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৬৫) ও মৃত সাকের মোহাম্মদ এর ছেলে আব্দুর রহমান (৫২)। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ অক্টোবর/২০২৪ এজাহার নামীয় আসামী আব্দুস সালাম লিটন ও অজ্ঞাতনাম আসামী সহিদুল ইসলামকে ও ৪ অক্টোবর ২০২৪ অজ্ঞাতনামা আসামী আব্দুল কুদ্দুস ও আব্দুর রহমানকে আটক করা হয়।
২৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখের বিরল থানার ১৩ নং মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বিরল উপজেলার ২ নং ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের চককাঞ্চন বাশিয়াপাড়ার মৃত সাহের উদ্দীন এর ছেলে জেলা বিএনপি’র সদস্য এবং বিরল উপজেলা বিএনপি’র প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আক্কাশ আলী গত বুধবার দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সচিবকে জন্ম নিবন্ধনের বিষয় জানতে চাইলে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানায়। সচিবের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার সময় একই ইউনিয়নের তেঘরা মহেষপুর গ্রামের মৃত হাচেন আলী এর ছেলে সাগর হোসেন (৩০), তেঘরা নারায়নপুর গ্রামের আবু নাজেম এর ছেলে মোবাশ্বের হোসেন (৩৮) ও মিম (২৮) নামের আসামীরা দেখতে পেয়ে বিএনপির লোক বলে উসকানিমূলক কথাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুসেন আলী এর হুকুমে উল্লেখিত আসামীরাসহ অন্যান্য এজাহার নামীয় আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি সোঠা, লোহার রোড, ধারালো হাসুয়া, চাকু, কুড়াল, দাসহ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীকে এলোপাথারীভাবে কিলঘুষি, মারপিট শুরু করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে পকেটে থাকা ব্যবসার নগদ ৭০ হাজার টাকা বের করে নেয় আসামীরা। বাদী ও তাঁর লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে শুরু করলে এজাহার নামীয় আসামী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুসেন আলী এর হুকুমে সাধারন মানুষকে আতংক ও দূর্ঘটনা ঘটানোর জন্য ককটেল বিস্ফোরণ করে এজাহার নামীয় আসামীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে পালিয়ে যায়। বাদীকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মোটরসাইকেলযোগে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত আক্কাশ আলী বাদী হয়ে ফরক্কাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হুসেন আলীসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ জনের বিরুদ্ধে বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছবুর এজাহার নামীয় ১ জনসহ ৪ জনকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।