শাহজাহান হেলাল, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২৪খ্রি.শনিবারঃফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই সাংবাদিক জুয়েল শরীফ,রাকিবুল ইসলাম মিঠুর বিচারের দাবীতে মধুখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ অক্টোবর ২০২৪খ্রি. শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কাপাষহাটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শিমুলের
সঞ্চালনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রেলগেট এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবার, মূল ধারার সাংবাদিকবৃন্দ ও সুশীল সমাজ অংশ নেন। জানা যায় ফেসবুক পেইজ শুকতারা টিভির জুয়েল শরীফ ও এসটিভি নিউজ এর নামধারী সাংবাদিক রকিবুল হাসান মিঠু তারা দুজন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তার সাথে অশালীন আচরণ করেন। পরবর্তীতে রকিবুল ইসলাম মিঠু বাদী হয়ে ফরিদপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন এমন তথ্য তারা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এমন খবর পেয়ে মধুখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শিক্ষকরা জানান ইতিপূর্বে এই দুজন ব্যক্তি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্ভট খবর প্রচার করবেন যে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্য হয়েছে। সংবাদের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করেছেন। এমন আচরন ও সংবাদে সাংবাদিকদের সুনাম নষ্ট করেছেন।
শত শত শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম । অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শুকুর মামুদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও মাধ্যমিক শিক্ষক নেতা মোঃ নাজির হোসেন মৃধা, কামারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বশির উদ্দিন, ছকরীকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাধা রানী ভৌমিক, দয়ারামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃধা রোকনুজ্জামান, উদ্দীপন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তার, ভুষনা লক্ষণদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জহুরুল ইসলাম লিটন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাদ্দাম আরফিন, মধুখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হোসেন পলাশ, শাহ হাবিব সিনিয়র মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক কামাল উদ্দিন মাস্টার, সহকারী শিক্ষক মোঃ মোস্তাফা হাফিজ,সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান,সহকারী শিক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন, সহকারী শিক্ষক কেয়া সুলতানা, সহকারী শিক্ষক রিফাত জাহান সহপ্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামের
বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান এবং অভিযুক্ত দুই সাংবাদিকদের বয়কট ও তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনী ব্যবস্থা নেওয়াার জোর দাবি জানান প্রশাসনের প্রতি।