নাজিম হাসান, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
অনেক পূজা পার্বনের রীতি থাকলেও শারদীয় দূর্গাপূজাই বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালনকরা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী মধ্যদিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। আর সেই জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপের জন্য তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, লক্ষ্মী,সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, পেঁচা, হাঁস, সর্পসহ বিভিন্ন প্রতিমা। আর বারো মাসে তের পর্বণ কথাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য প্রচলিত থাকলেও শারদীয়া বা দূর্গা পূজাই বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রথম শুরু হয় বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার রাজবাড়ির দূর্গা মন্দিরে। ৫৪১ বছর আগে সম্রাট আকবরের শাসনামলে রাজা কংস নারায়ণ সে সময় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু করেন সোনার তৈরী এই দুর্গাপূজা। তাই দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল হিসেবে গর্ববোধ করেন তাহেরপুরের অধিবাসীরা। তবে শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দিন রাত সমানতালে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাহেরপুরের মৃৎ শিল্পীরা। ইতিমধ্যে প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জার কাজ। পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, মহাষ্টমী পালিত হবে ১১ অক্টোবর। মহানবমী পালিত হবে ১২ অক্টোবর। বিজয়া দশমী পালিত হবে ১৩ অক্টোবর। এদিন বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।