ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার পরেই উত্তরবঙ্গের মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় জমায়েত লালমনিরহাট জেলা ইজতেমা। এ ইজতেমায় ধর্মের আলোকে বয়ান করবেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের দেশবরেণ্য ১০ জন আলেম। এতে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার প্রায় ৫০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশগ্রহন করবেন। ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লিদের জন্য ১শত টির বেশি শৌচাগার, গোসলখানা ও অজুখানা বসানো হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ইজতেমা প্রাঙ্গণে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। আগামী শনিবার সকাল ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ইজতেমা সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির শূরা সদস্য হারুন অর রশিদ জানান, রংপুর বিভাগসহ লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। তাদের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামীকাল ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু হবে ইজতেমার কার্যক্রম।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, জেলা ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে হয়, সেজন্য ইজতেমা ময়দানে সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে কর্মপন্থা সাজানো হয়েছে।