দুলাল সরকার, সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রতিনিধি : সৈয়দপুর উপজেলার সৈয়দপুর প্লাজার ৭ জন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় উক্ত প্লাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মামলা বাদীর বিরুদ্ধে মানবন্ধনের মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি প্রদর্শন করেছেন ব্যবসায়ী। জানা যায়,উক্ত সৈয়দপুর প্লাজা এবং এসআর প্লাজার প্রকল্প পরিচালক গুলজার আহমেদ, পিতা- মৃত শরীফ উদ্দিন ওই ৭ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চলতি বছরের গত ১৭ এপ্রিল মামলাটি করেন। মামলা নম্বর পিটিশন ২৩, আসামীরা হলেন-আব্দুল বারী, দোকান নং-০৫, লিটন, দোকান নং-০২, মোঃ আতিক, দোকান নং- ১২, মোঃ আজিজুল ইসলাম , দোকান নং- ১৬, মোঃ সাজ্জাদ, দোকান নং-০৮, মোঃ এরশাদ, দোকান নং-০৭, মোঃ সুজন, দোকান নং-০১। মামলা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটে প্রায় ২০ বছর যাবত সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে। সেখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের জীবিকা নির্বাহ করে। সৈয়দপুর পৌরসভার সর্বোচ্চ করদাতা সৈয়দপুর প্লাজা ও এসআর প্লাজা। সুপার মার্কেটের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এসটি কানেকশন সহ নিজস্ব ট্রান্সফর্মার রহিয়াছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের সাব-মিটার রহিয়াছে। কিন্তু ১ ও ২ নং আসামী নিয়মিত বিদ্যুৎ পরিশোধ করে না। বর্তমান পর্যন্ত তাদের নিকট যথাক্রমে ৮৪০০/- ও ১১১৩২/- টাকা বকেয়া রহিয়াছে। তারা খুবেই বেপরোয়া, দুর্দান্ত প্রকৃতির ও মারখুখী স্বভাবের ব্যক্তি। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য তাদেরকে উক্ত প্লাজা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাগাদা দিলে তাহারা মারমুখী ও বেপরোয়া আচরণ করেন। এমনকি তাদের নেতৃত্বে কিছু কিছু ব্যবসায়ী নিয়মিত ভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করিলে বিল পরিশোধের তাগাদা দিলে তারাও বিভিন্ন অজুহাতে বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার তালবাহানা সহ মারমুখী আচরণ করেন। এদিকে গত ১০ এপ্রিল মার্কেটের ট্রান্সফর্মারে যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দিলে ত্রæটি সরানোর জন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানানো হইলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের লোকজন আসিয়া ট্রান্সফর্মারের ত্রæটি সরানোর কাজ করাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিলম্ব হওয়ায় ১ ও ২ নং আসামী সহ আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী সৈয়দপুর প্লাজা ও এসআর প্লাজার অফিস ঘরে ঢুকে মামলার বাদী গুলজার আহমেদ ও মার্কেটের স্বত্ত¡াধিকারী শামসুল হক ভ‚ইয়াকে জীবন নাশের হুমকী প্রদান সহ ব্যবসা করিতে দিবেন না মতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। বাদী উক্ত বিষয়ে সে সময় সৈয়দপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। কিন্তু আসামীরা উক্ত সাধারণ ডায়েরীর কথা জানতে পেয়ে বাদীর প্রতি আরো মরিয়া হয়ে উঠেন। ফলে উল্লেখিত ঘটনার তারিখ ও সময় ১৩ এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ৪.৩০-৫.০০ ঘটিকার সময় সকল আসামীগণ সহ অজ্ঞাত আরো ৩০-৩৫ জন লোক বেআইনী ভাবে দলবদ্ধ হয়ে অভিন্ন উদ্দেশ্যে বাদীকে জীবনের শেষ করে দেওয়ার জন্য বাদীর অফিস ঘরে বেআইনীভাবে অনুপ্রবেশ করিয়া বাদীকে খুঁজিতে থাকেন এবং বাদী সেই সময় অফিসে না থাকায় আসামী আব্দুল বারী ও লিটনের নেতৃত্বে উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস থেকে জোরপূর্বক বাহির করিয়া দিয়া অফিস ঘরে তালা লাগাইয়া দিলে বাদী নিরুপায় হয়ে উল্লিখিত মামলাটি করেন। এ নিয়ে বাদীর পক্ষ থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগের নীলফামারী জেলা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), মোকছেদুল ইসলামকে দায়িত্ব দিলে তিনি তদন্ত শেষে স্বাক্ষীসহ মামলা বিষয়ে রিপোর্ট দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিপিবদ্ধ করেন। অপরদিকে, এরই পরিপেক্ষিতে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামীদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনের মাধ্যমে গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদীকে ৭ দিনের মধ্যে মামলা তুলে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেন।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.