ইয়ানূর রহমান : দুর্গাপুজা উপলক্ষে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ১২ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারতের কলকাতার দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আর এস এন্টারপ্রাইজ ও আর জে এন্টারপ্রাইজের তিনটি ট্রাকে ১২টন ইলিশ বেনাপোল থেকে ভারতের প্রেট্রাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ ও সোমা এন্টারপ্রাইজ।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির নুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরে তা থেকে সরে এসে তারা শেষ পর্যন্ত ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে সেগুলো হলো- আরিফ সি ফুডস, জারা এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ ফিড, এস এ আর এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান ন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, রুপালী সি ফুডস লিমিটেড, লাকি এন্টারপ্রাইজ, টাইগার ট্রেডিং, রিপা এন্টারপ্রাইজ, জেবিএস ফুড প্রোডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, মহিমা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং কোম্পানি লিমিটেড, রহমান ইমপেক্স, আসিফ ইমপেক্স, নোমান এন্টারপ্রাইজ, যমুনা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সততা ফিশ, প্যাসিফিক সি ফুডস লিমিটেড, জেজে ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্বাস ইন্টারন্যাশনাল, ক্যাপিটাল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যান্ড কোম্পানি, অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সুমন ট্রেডার্স, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ, আঁচল এন্টারপ্রাইজ, ২ এইচ ইন্টারন্যাশনাল, এমএপি ইন্টারন্যাশনাল, সরদার এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট, ইউভা ট্রেডিং, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল, আসফা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, স্ট্যান্ডার্ড ফুড করপোরেশন, জেএস এন্টারপ্রাইজ, পদ্মা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, মেসার্স আহনাফ ট্রেডিং, নাফিজা এন্টারপ্রাইজ, ডিপ সি ফিশারিজ লিমিটেড, মাসুদ ফিশ প্রসেসিং, আরকে ট্রেডার্স, বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ ও লোকজ ফ্যাশন।
দেশে সরবরাহ বাড়াতে এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটা দামি মাছ। আমরা দেখেছি যে আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারে না। কারণ, সব ভারতে পাঠানো হয়।’
এরপর ভারত ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। পরে ২২ সেপ্টেম্বর ইলিশ রপ্তানি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের যারা মৎস্য ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশের যারা মৎস ব্যবসায়ী তাদের একটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এরসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।'