বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের বোদায় ৮ বছরের শিশুকে মাছ ধরার কথা বলে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে হযরত আলী (৫৬) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বড়শশী ইউনিয়নের গড়েরপাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটলেও শিশুটি তার মাকে শনিবার বিষয়টি জানান।নির্যাতনের শিকার শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষাথী।
অভিযুক্ত হযরত আলী একই গ্রামের মৃত সিরাজের পুত্র । গ্রামে তার একটি মুদির দোকান রয়েছে।এ বিষয়ে শিশুটির মা জানান, অভিযুক্ত হযরত আলী শিশুটির সম্পর্কে নানা হওয়ার সুবাদে নদীর ধারে মাছ ধরার জন্য সন্ধ্যায় বাসা থেকে নিয়ে যায়। আমার মেয়ে বাসায় ফিরে আসার পর রাতেই তার গলায় ও গালে কামড়ের দাগ দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে কান্না করতে করতে হযরত আলী তাকে কামড় ও জোড়পূর্বক বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার বিষয়টি জানায়। আমি বিষয়টি বিষয়টি জানতে পেরে আমার স্বামীকে এ বিষয়ে জানানে, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানানো হলে তারা বিচারের আশ^াস দেন।
শিশুটির বাবা জানান, আমার মেয়েকে নদীর ধারে মাছ ধরার কথা বলে নিয়ে গিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে শ্লীলতাহানী ঘটায়। আমার আট বছরের মেয়ে ভয় পেয়ে প্রথম দিনে বাসায় কিছু না বললেও পরের দিন তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে। আমি এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে জানালে তারা বিচার করার আশ^াস দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, শিশুটিকে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমি তার গালে ও গলায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। আমি তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেছি।
.এ বিষয়ে ইউপি সদস্য তাঁরা মিয়া জানান, শিশুটির বাবা আমাকে অভিযোগ দিলে আমি হযরত আলীর বিচারে আশ^াস দেই। শিশুটিকে নির্যাতনের চিহ্ন মুখে ও গলায় দেখা গেছে।