মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শাযেস্তানগরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে এলাকাবাসী। ২৪ ঘন্টায় মধ্যে দুই থেকে তিন ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকেনা পুরো উপজেলা। সন্ধ্যা হয়ে রাত যত বাড়ে তার সাথে পল্লা দিয়ে ভাড়তে থাকে লোডশেডিং। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেনবাগে বিদ্যুৎ সবররাহ করা হয়েছে গড়ে ১ঘন্টা। এরমধ্যে গ্রাহকরা প্রতিটি পিডারে বিদ্যুৎ পেয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার ঠিকমত প্রস্তুতিও নিতে পারছেনা পরীক্ষাথীরা ।এক দিকে প্রচন্ড গরম ও অন্যদিকে ঘনঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারনে প্রতিটি ঘরে ঘরে দেখা দিয়ে জ্বর,শর্দি,কাশী সহ নানা ধরণের রোগব্যাধি। আশপাশের উপজেলা গুলোতে যে ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তার চেয়ে ব্যাতিক্রম সেনবাগ উপজেলা এখানে অজ্ঞাত কারণে মাত্রারিক্ত লোডশেডিং করা হয় ।এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের লোকজন সহ সর্ব সাধারণের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।
সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা আবু নাছের ভিপি দুলাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সেনবাগ উপজেলা বিএনপি অধ্যশিত এলাকা। আওয়ামীলীগের ক্ষমতার তিন সেশনে এখানে দুই মেয়াদে আওয়ামীলীগের এমপি নির্বাচিত হয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু বর্তমানে সেনবাগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কারণে ওই উন্নয়ন হারিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য তিনি সেনবাগ উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনালের ম্যানাজার (ডিজিএম) এর অব্যস্থপনাকে দায়ী করেন। এবং ডিজিএম নির্বাচনী বছরে সরকারকে বেকায়দায় পেলার জন্য বিরোধীদলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে বলেও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি সহ বিভিন্ন সভাতে অভিযোগ করেন। এছাড়াও উপজেলা যুবলীগ নেতা সিরাজুল আলম পলাশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে তার নিজস্ব আইডি থেকে সেনবাগে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং নিয়ে ডিজিএম এর ক্ষমতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং স্থানীয় সাংবাদিকা লোডশেডিং নিয়ে লেখালেখি না করায় প্রকাশ করেন ও ডিজিএমর অপসারণ করে দাবী জানান।
এব্যাপারে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সেনবাগ উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার (ডিজিএম) মোস্তফা আমিনুর রাশেদের সঙ্গে সরাসরি কথা বললে, তিনি বিদ্যুতের লোডশেডিংয়েল কথা স্বীকার করে বলেন হঠাৎ বুধবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। চৌমুহনী ও রামগঞ্জ গ্রিড থেকে চাহিদার ৪ভাগের এক ভাগ বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে বাধ্য হয়েই লোডশেডিং করা হচ্ছে।
তিনি জানান ,বুধবার চৌমহনী গ্রিডে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৩৬ মেগাওয়াট তার মধ্যে সেনবাগে সরবরাহ ছিলো ৬৭ মেগাওয়াট তারা গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করেছে ৬৯ মেগাওয়া এবং রামগঞ্জ গ্রিড থেকে তাদের চাহিদা ছিলো ৩৬ মেগাওয়াট পেয়েছেন ১৮ মেগাওয়াট এবং সরবরাহ করেছে ১৮ মেগাওয়াট। তাকে প্রশ্ন করা হয় বর্তমানে তো বাংলাদেশের কোথাও কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়নি তা হলে সেনবাগে কেন এত লোডশেডিং তিনি এর কোন উত্তর দিতে পারেননী তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.