শাহজাহান হেলাল,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ২৪ জুলাই সোমবার ; ফরিদপুরের মধুখালীতে হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মধুখালীতে ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এখন পর্যন্ত।
সোমবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৬৫জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬ জন। ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়েছে ৮ জনকে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চরবাগাটের মোঃ আমিনুল ইসলামের ২ বছরের ছোট্ট মেয়ে জান্নাতুল মাওয়াকে দেখা যায় ডেঙ্গু ওয়ার্ডের বিছানায় শুয়ে কাৎরাচ্ছেন। মাওয়ার দাদী জানায় চারদিন আগে জ্বর আসলে ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পরে। নওপাড়া ইউনিয়নের আমডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আহম্মদ শেখের ছেলে মোঃ আলম(৩২) গত চার দিন আগে জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পরলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে। ফরিদপুর সদরের পরমানন্দপুর গ্রামের মোঃ হানিফ শেখের ছেলে মোঃ মুকুল শেখ (১৭) একদিন আগে জ্বর আসলে পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পরে। চিকিৎসা নিচ্ছেন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।এদিকে হঠাৎ ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় মধুখালী পৌরসভার থেকে নেওয়া হয়েছে জনসচেতনতা মূলক উদ্যোগ। পৌরসভায় মশা নিধনে তিনটি ফগার মেশিন রয়েছে। এ ব্যাপারে কথা হয় মধুখালী পৌরপিতা খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমনের সাথে। তিনি জানান, এডিস মশার আতঙ্কে পৌর এলাকার প্রতিটা ওয়ার্ডে মাইকিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পৌর এলাকার মসজিদে,বাজারে লিফলেট বিতরন করা হবে। নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখার ব্যপারেও জোর দেন মেয়র।তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা মশা নিধন ও জনসচেতনতায় প্রতিবছরই কাজ করে থাকি। শিগগিরই মশা নিধনে ফগার মেশিনের ব্যবহার শুরু করবো। তিনি আরো বলেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যারা মধুখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন তার বেশীর ভাগই পৌর সভার বাইরের তা ছাড়া মধুখালী উপজেলার পার্শ¦বর্তী উপজেলার ডেঙ্গু রোগীরা এখানে চিকিৎসা সেবানিতে আসেন। সে কারনে এখানে একটু বেশীই দৃর্শ্যমান হচ্ছে। আমরা সর্তক আছি। সরেজমিনে সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটির ৩য় ও ৪র্থ তলায় নির্ধারিত ইউনিট রাখা হয়েছে। সেখানে মশারি টানিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রুগীরা। হাসপাতালটির দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মুক্তি রানী রায় এ প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের এ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা রোগীদের তরল খাবারের পাশাপাশি স্যালাইনের পানি, ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে নিয়মিত কাউন্সিলিংও করা হচ্ছে। মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আঃ সালাম জানান ডেঙ্গু রুগীদের বেশির ভাগ এখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। যাদের বেশি সমস্যা তাদেরকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে।
হাসপালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ কবির সরদার বলেন বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নাই। চাহিদা পাঠানো হয়েছে হয়তো অল্পদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। এখানে মধুখালী উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলার রোগী আসছেন যে কারনে রোগির বেশ চপে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নাই । হাসপাতালে সব রকম প্রস্তুতি আছে আপত কালিন সময় মোকাবেলা করার।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.