প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ১, ২০২৪, ৯:১৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৩, ২০২৩, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যে রাতে ইলিশ শিকারে সাগরে নামছে জেলেরা
![](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/07/images-2023-05-19T141415..jpg)
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে সাগরে মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এরইমধ্যে ট্রলার ও জাল মেরামতসহ সাগরে নামার সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন জেলেরা। রোববার রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ইলিশ শিকারে গভীর সাগরে যাত্রা করবে হাজরো ট্রলার।
সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। তবে অবরোধ চলাকালেও ভারতীয় জেলেসহ দেশীয় কিছু অসাধু জেলেদের মাছ শিকার অব্যাহত ছিল। তাই এ দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পরও সমুদ্রে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন উপকূলের প্রায় ৩০ হাজার জেলে।
আর মৎস্য আড়তদার ও ট্রলার মালিকরা বলছেন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে সেই আশায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে ট্রলার মেরামতসহ অন্য সরঞ্জামাদি নিয়ে তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন পর্যাপ্ত রুপালি ইলিশের দেখা মিললেই কেবল জেলেদের ধারদেনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে। আর কাঙ্ক্ষিত মাছ না পেলে বিপদের শেষ থাকবে না।
রিয়াজ ট্রলারের মাঝি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বাড়িতে বসেছিলাম। নতুন জাল বানিয়েছি, ট্রলার মেরামত করেছি। সরকার যে চাল দিয়েছে তা দিয়ে কি আর সংসার চলে? ২০ হাজার টাকা সুদে এনে খাইছি। এখন যদি অবরোধের পরে মাছ না পাই তাহলে এগুলো পরিশোধ করবো কি দিয়ে?
রায়হান ট্রলারের মালিক রাসেল মোল্লা বলেন, আমাদের জেলেরা ৬৫ দিনের অবরোধে মাছ শিকারে নামেনি। কিন্তু দেশের বিভিন্নস্থানের প্রভাবশালী জেলে ও ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকার করে নিয়েছে। তাহলে আমরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হব?
আলীপুর মৎস্য বন্দরের সাত ফিসের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে শতশত মানুষ এই পেশায় নিয়োজিত। রূপালি ইলিশের আশায় সবার মধ্যে একটি আমেজ বিরাজ করছে। আজকে রাত থেকে জেলেরা সমুদ্রে পাড়ি জমাবে। আমরা আশাবাদী, কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলবে।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, মূলত সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য এই ৬৫ দিনের অবরোধ। তবে এরমধ্যেও অনেকে জেলে সমুদ্রে মাছ শিকার করেছে। এতে একদিকে তারা সরকারের বরাদ্দও পেল এবং সামুদ্রিক মাছও সংরক্ষণ হলো না। এভাবে চলতে থাকলে সমুদ্র থেকে মাছ হারিয়ে যেতে থাকবে।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধে প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেকে ৮৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। শিগগির আরও কিছু জেলে নিবন্ধনের আওতায় আসবে। নিষেধাজ্ঞার শেষে জেলেরা সমুদ্রে গেলে পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইলিশের উৎপাদন আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, এই অবরোধে প্রশাসন তৎপর ছিল। এরমধ্যেও অনেক অসাধু জেলেরা মাছ ধরার চেষ্টা করেছে। যে কারণে আমরা ছয় লাখ টাকা জরিমানা করাসহ অনেককে আইনের আওতায় এনেছি।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.