ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর এলাকার শান্তির হাটের নিকট চায়না কোম্পানীর নামে ইপিজেড তৈরী করা হবে বলে এলাকা বাসিকে ভুল বুঝিয়ে মেঘনা পাড়ের মালিকানা ও সরকারী কৃষি জমি দখল করে মেঘনার ডুবো চর থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে জিও টিউবে ভরাটের কাজ করছেন আলাউদ্দিন নামের একজন বালু দস্যু। শুক্রবার মেঘনার প্রবল ¯্রােতে জিও টিউবসহ কয়েকশত ফুট ভেঙ্গে ড্রেজাসহ ২৫ শ্রমিক মেঘনা নদীর গর্ভে তলিয়ে গেছে। এসময় পর্যটকেরা ডাকচিৎকারে স্থানিয়রা এসে ২৫ জনকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে মারাত্মক আহত ৮ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪ জনকে আশংকাজন অবস্থায় বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলোন - সুমন (৩৫), জাফর (৩০), ইমন (২৬), ইউনুস (৪০), হারুন (৪৫) দুলাল (৩০), জামাল (৩০), নুর হোসেন (৩৫), ঝান্টু (৩০) ও ইউনুছ (২৮)। ১২ জন আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চত করেছেন সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্বে থাকা সালাউদ্দীন। এদের বাড়ি কাচিয়া ও রাজাপুরে। চায়না কোম্পানীর নামে নদীর তীর, চলাচলের রাস্তা, ব্যাক্তি মালিকানা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি মেঘনার বালু দিয়ে ভরাট করলেও ইপিজেট কোম্পানীর নাম কি তা কেউ জানেনা। ওই মেঘনার তীরে প্রভাব শালীরা বালু দিয়ে ভরাটের কাজ করছেন, তাই অনেকে মুখ খুলতে রাজি হননি। তাছাড়া দখল ও উচ্ছেদ আতঙ্কে আছেন শত শত ভুমি হীন ও জমির দরিদ্র মালিকেরা।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে নিত্যদিনের মত চায়না কোম্পানির নামে ইপিজেড তৈরির কাজে বালুর মাঠ ভরাটের কাজ চলছিলো। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভোলা-দৌলতখানের সেই পুরানো জনসাধারনে চলাচলের রাস্তা। পুল বন্ধ করে টিন দিয়ে প্রাচির তৈরী করা হয়েছে রাস্তার উপর। শ্রমিকরা জানায়, বলগেট থেকে ড্রেজারে ও ড্রেজার থেকে জিও টিউব ব্যাগে বালু ভর্তি করার সময় হঠাৎ মেঘনার ঘুর্নায়মান পানির তোরে প্রায় সাড়ে ৩শ ফুট এলাকার ড্রেজার ও শ্রমিকসহ নদী গর্ভে তলিয়ে যায়, তলিয়ে যাওয়া শ্রমিকরা ভেসে উঠলে স্রোতের প্রচন্ড চাপে তারা আবারও তলিয়ে যায়। এ সময় পর্যটকেরা দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে। তড়ি গড়ি করে বলগেট পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মেঘনার তীর বালু দিয়ে ভরাটের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার আলাউদ্দিন বলগেট থেকে পরে পা ভেঙ্গে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়। সার্ভেয়ার আলাউদ্দিনকে ফোনে এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক নাম শুনে তিনি আলাউদ্দিন নয় বলে ফোন কেটে বন্ধ করে রাখেন। ড্রেজারের সাব কন্ট্রকটার কাচিয়ার শিপন মেন্বার জানান, আমি বালু ভর্তির জন্য পরানগঞ্জের ঠিকাদার নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে কাজ নিয়েছি। প্রতিটি বলগেটে সাড়ে ১০ হাজার ফুট করে বালু ইপিজেডে আনলে তারা তা ড্রেজার দিয়ে জিও ব্যাগের টিউবে ভর্তি করেন। তবে বালু কোথায় থেকে আনা হয়েছে তা তিনি বলতে রাজি হননি। তার কাছে ঠিকাদার নাজিমের ফোন নান্বার চাইলে তিনি তার ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। ঠিকাদার নাজিম উদ্দিনকে খুজে পাওয়া যায়নি। মেঘনায় অতিরিক্ত জোয়ার থাকায় ইপিজেড নামের নদীর তীর ভাঙ্গন অব্যহত আছে। এবিষয়ে জানতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) সুজাউদ্দিনকে-০১৩১৮২৫৯১২৩ নং ফোনে কলকরা হলে তা তিনি রিসিভ করেননি।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.