পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদে জমি সংক্রান্তে মিমাংসার সময় ঈদের ছুটিতে এসে দুই ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করলেন শফিকুল ইসলাম নামের এক সেনা সদস্য।
এ ব্যাপারে ময়দান দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওর্য়াড সদস্য বেলাল হোসেন বাদী হয়ে সেনা সদস্য শফিকুল সহ ৩ জনের নামে বোদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সেনা সদস্য শফিকুল ইসলামের বাড়ি বোদা উপজেলার ২ নং ময়দান দিঘী ইউনিয়নের আরাজীগাই ঘাটা গ্রামে। সে ঔ এলাকার কৃষকলীগ নেতা ওমর আলী মাষ্টারে ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,গত ২৮ জুন দুপুরে সরকারী রাস্তার মাটি কাটতে বাধাঁ প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট ওর্য়াডের ইউপি সদস্য। সে সময় সেনা সদস্য পরিচয় দিয়ে উক্ত ইউপি সদস্যকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন তিনি সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
এসময় ইউপি সদস্য কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে চলে এসে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারকে জানালে গত ৩০ জুন উভয় পক্ষকে মিংমাংসার জন্য পরিষদে ডাকেন।
মিমাংসা কার্যক্রম চলাকালে শরিফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা বেলাল হোসেন সহ আরেক ইউপি সদস্যের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়। এসময় মাথা মুখে হাতে আঘাত হয়।
থামাতে গিয়ে চেয়ারম্যানকে ধাক্কা লাগে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি লোক মূখে জানাজানি হলে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের শুভাকাঙ্খিরা পরিষদে ছুটে আসেন।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান তাঁদের ৪ জনকে ১ টি কক্ষে আটকে রাখেন। পরিস্থিতি আরো জটিল হলে থানায় খবর দেন।
ওসি সহ আরো ১০ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনতে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় ১৮ঘন্টার বেশি সময় অতিবাহিত হলেও উদ্ধারকৃতদের থানার বাইরে বিভিন্ন স্থানে হাটা চলা করতে দেখা যায়।
পুলিশের জিম্মায় থাকা অবস্থায় অনেকে এনিয়ে আইনের অপব্যবহার কথা বলতেও শুনা যায়। এর বাইরেও পুলিশের পাহারা ছাড়াও তাঁদের হাটবাজার ও হাসপাতালে আসতে যেতে দেখা যায়। পরে অবশ্য বেলাল হোসেন বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে সেনা সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, আমার উপরে হামলা করা হয়। আমি নিজেকে সেভ করার জন্য হয়তো এসময় কারো গায়ে আঘাত হতে পারে। তবে ইউনিয়ন পরিষদে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর নির্মম আঘাত করা হয়েছে। আমরাও হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তবে মিমাংসার জন্য চেষ্ঠা চলছে।
ময়দানদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন আব্দুল জব্বার জানান,ইউপি সদস্যদের উপর হামলায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুজয় রায় জানান, অভিযোগ দিয়েছে তবে তাঁরা মিমাংসার চেষ্টা করছে।মিমাংসা নাহলে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গন্য হবে। তবে থানা এসে বাইরে চলা ফেরার বিষয় তিনি কোনে মন্তব্য করেননি।