ডেক্স নিউজ:
রাসিক ৩০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন সামনে রেখে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগরের মতিহার থানায় মামলা দুটি করেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলাউদ্দীন ও আবদুস সামাদ।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ৩০ নং ওয়ার্ডের মৌলভি বুধপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের একাধিক কর্মী সমর্থক আহত হন। এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছেন। শনিবারও ওই এলাকায় পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে রয়েছে। এ কারণে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলাউদ্দীন মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার প্রতীক ঠেলাগাড়ি। আবদুস সামাদের প্রতীক ঘুড়ি। তিনি জামায়াত শিবির পন্থী শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি।
মহানগর পুলিশের মতিহার বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার একরামুল হক জানিয়েছেন, রাতেই দুই পক্ষ থানায় মামলা করেছেন। তাঁরা উভয় পক্ষের মামলা নিয়েছেন। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে, সে জন্য পুলিশ রাখা হয়েছে।
মামলায় দুই পক্ষই বেশ কয়েকজন আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি রেখেছেন। উভয় পক্ষ একে অপরকে মারধর ও পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ এনেছেন।
পুলিশ, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে দুই প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বের হন। কাউন্সিলর প্রার্থী আলাউদ্দীন প্রায় ১০০ মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জাপুর এলাকা থেকে। মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বুধপাড়ার রাস্তা দিয়ে এসে মৌলভি বুধপাড়া এলাকায় আসে। ওই এলাকায় আগে থেকেই জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সামাদ সমর্থকদের নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন।
ওই সময় আবদুস সামাদ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাকে যাওয়ার রাস্তা করে দেন। অর্ধেক মোটরসাইকেল চলেও যায়। এ সময় হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। কেউ কেউ লাঠিও হাতে নেয়। এতে প্রার্থী আলাউদ্দীনের পাঞ্জাবিও ছিঁড়ে গেছে।
মো. আলাউদ্দীন বলেন, তিনি রাতেই এই হামলার ঘটনায় মামলা করেছেন। তার দুইজন কর্মী এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ দেবেন।
জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সামাদ বলেন, ভোটের পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছেন আলাউদ্দীন ও তাঁর সমর্থকেরা। তিনি এই ঘটনায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনি মারধর, ভয়ভীতি, পোস্টার ছেঁড়ার বিষয় উল্লেখ করেছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.