ইসাহাক আলী, নাটোর, ৪ জুন- নাটোরে কলেজ শিক্ষিকার সাথে একান্ত ভিডিও ভাইরাল হওয়া আলোচিত সেই চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা এক ভুক্তভোগী সেবাপ্রার্থী রোগী। নাটোর সদর উপজেলার উত্তর হাগুরিয়া এলাকার মৃত মোজারের ছেলে গোলাম মোস্তফা চুনু এক জায়গায় বদলি হয়েও পূর্বের কর্মস্থলের পরিচয় প্রচার করে ও প্রেসক্রিপশন প্যাড ব্যবহার করে প্রতারণা করছেন এমন অভিযোগ এনে সিভিল সার্জন বরাবর এই অভিযোগ করেছেন। তবে চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের দাবি তিনি সম্প্রতি বদলি হওয়ায় এমন জটিলতা হয়েছে আসলে এটা কিছু নয় শুধু মানুষকে বিব্রত করাই এর উদ্দেশ্য।
গতকাল করা ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ডা. আমিনুল ইসলাম লিপন শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ সিরাজগঞ্জে পোস্টিং হওয়া সত্বেও সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত আছে মর্মে প্রচারণা ও প্রসার চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তার প্রেসক্রিপশন প্যাডেও সে একই ভাবে সে ওই সেখানকার সহকারী অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে মর্মে উল্লেখ করা আছে। বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে রোগী দেখার প্রচারণা চালাচ্ছে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে। এটি একটি জালিয়াতী ও প্রতারণার শামিল বলে উল্লেখ করে বলা হয় এতে রোগীদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে ও রোগীদের ধোকা দেয়া হচ্ছে। মডেল হাসপাতালে তার নামে মাইকিংও করা হচ্ছে। এতে তিনি এর জন্য জালিয়াতী ডাক্তারের বিরুদ্ েআইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও এটি বন্ধের দাবি জানান। ওই ভুক্তভোগী আবেদনের সাথে আলসান হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন প্যাড, ফাইল ও বিভিন্ন সাইন বোর্ডের ছবি ও মাইকিং এর রেকর্ডিং জমা দেন।
এদিকে এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা চুনু এই প্রতিবেদককে জানান একজন বড় মাপের চিজিৎসক হয়ে এ ধরনের দায়িত্বহীনা ও প্রচার প্রতারণার শামিল। এর ব্যবস্থা দ্রæত করা দরকার।
এ ব্যাপারে আলসান হাসপাতালের পরিচালক বাবলু ও সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমানের ফোনে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
তবে সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এ ব্যপারে একজন ভুক্তভোগী তাকে ফোন করেছিলেন তিনি লিখিত ভাবে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করতে বলেছিলেন। এর বাইরে বাকিটা সিভিল সার্জনের কাছে জানার পরামর্শ দেন।
তবে মডেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল খান জানান, বদলির বিষয়টি তারা জানতেন পরে জানারপর তারা নতুন করে প্যাড করতে দিয়েছেন আর মাইকিং বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সিল বানাতে দেয়া হয়েছে জানান তিনি। এদিকে আরেকটি বেসরকারী হাসপাতালের পরিচালক আগের প্যাডেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে স্বীকার করেন।
এদিকে এ ব্যাপারে ডা. আমিনুল ইসলাম লিপন বলেন, সম্প্রতি তিনি বদলি হয়েছেন বিষয়টি তিনি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে জানিয়েছেন তারা প্যাড প্রস্তুত ককরতে দিয়েছেন। তবে আপাতত তিনি প্যাডে বর্তমান কর্মস্থলের পরিচয় সম্বলিত সিল ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এটা কোন বিষয় নয় আসলে তাকে বিব্রত করতে এমনটা করা হচ্ছে। এমনতো নয় যে তিনি কখনো রাজশাহী মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন না। সেখানে ছিলেন সম্প্রতি বদলি হয়েছেন মাত্র পরিচয়টাতো মিথ্যা না।
এর আগে গত বছর এক শিক্ষিকার সাথে অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হলে ওই শিক্ষকাকে বহিঃষ্কার করে কলেজ কর্তপক্ষ বর্তমানে তা বিচারাধীন। আর কিছুদিন কিছুটা লোখ চক্ষুর আড়ালে থাকলেও বর্তমানে নাটোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পর এর বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সুশীল সমাজে তা নানা সমালোচনার জন্ম দেয়।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.