মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া উত্তরপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুর রশিদ মাস্টারের ছেলে নিহতের চাচাতো মামা মো. নাসির উদ্দিন (৪০), মো. শহিদুল ইসলাম সাচ্চা (৫০) ও একই মহল্লার মৃত সমেশ আলীর ছেলে মো. ইসরাফিল হোসেন (৬৫)। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. আব্দুল মতিন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের ছেলে মিল্টন হোসেন এর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে কাউছারকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বকুল ও তার স্বজনেরা। সেখানে তাদের মধ্যে বিবাদমান জমি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মামা বকুল, মামীসহ স্বজনেরা লাঠিসোঁটা দিয়ে কাউছারকে বেধড়ক মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে কাউছারের বড় ভাই মিল্টনসহ তার স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় কাউছার ও মিল্টন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা নেওয়ার পথে কাউছারের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিল্টনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তিনিও মারা যান।
ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর নিহতের মা মোছা. হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১৬ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত সোমবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন ।