প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ১২:৫১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
বাগাতিপাড়ায় বিএনপির আহ্বায়কের হুমকিতে নারী অধ্যক্ষ হাসপাতালে
নাটোর প্রতিনিধি. : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেনের হুমকিতে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন বাগাতিপাড়া বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুন নাহার সিমা।
সোমবার দুপুরে ওই অধ্যক্ষ তার কলেজে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অধ্যক্ষ শামসুন নাহার সিমা জানান, গত কয়েকদিন থেকেই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন তাকে ফোন করছেন এবং তার কলেজের পরিচালনা কমিটিতে তার দেয়া ব্যাক্তিগণকে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং তার সাথে দেখা করারো জন্য নির্দেশ দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া মোশাররফ হোসেন তার প্রতিষ্ঠানে রেজাউল নামের এক ব্যাক্তিকেও পাঠান। পরে ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার উপজেলার মালঞ্চি বাজার রেল গেট এলাকায় মোশাররফের অফিসে ওই অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠান। পরে ওই দিন দুপুরে অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেনের অফিসে গেলে তিনি কড়া ভাষায় তাকে তার প্রতিষ্ঠানের ইতোপূর্বের সকল হিসাব নিকাশ দাখিল করতে বলেন। এবং আপাতত তার লোক রেজাউলকে প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটিতে রাখার জন্য নির্দেশ দেন। আর পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তার সাথে আলোচনা করে তার মনোনিত লোক দিয়ে কমিটি করার নির্দেশ দেন। সে সময় মোশাররফ ওই অধ্যক্ষকে আরো নির্দেশ দেন কমিটিতে রেজাউল নামে থাকবে তবে সব বিষয়ে তার সাথে আলোচান করতে হবে। এ সময় ব্যাপক গালমন্দ ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ।
এতে ওই অধ্যক্ষ ভীত হয়ে সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরাও জানান, মোশাররফ হোসেন তাদেরকেও ফোন করে তার সাথে দেখা করতে বলেছেন এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে তার লোক রাখার নির্দেশ দিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিএনপির এই নেতা তাদের সাথে প্রায় সময় খারাপ ব্যবহার করছেন। কর্মকর্তারা বলছেন আমরা বাহির থেকে চাকুরি করতে এসেছি সরকারি চাকুরি করি তাই কিছু বলতে না পেরে তার অসাদাচরণ মুখ বুঝে সহ্য করছি।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রেজাউল করিম জানান, ওই অধ্যক্ষকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা প্রাথমিক ভাবে তার ইসিজি করি। তাতে তার রিপোর্ট খারাপ আসে। তবে প্রাথমকি ভাবে আমরা এখানে তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি। অবস্থার উন্নতি না হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তবে ওই অধ্যক্ষ তার অফিসে গিয়েছিলেন এটা নিশ্চিত করে এই নেতা আরো বলেন তার সাথে কোন খারপ ব্যবহার করা হয়নি।
Copyright © 2024 সংবাদ প্রতিক্ষণ. All rights reserved.