তানোর প্রতিনিধি: ঈদের বাকি কয়েকদিন সেই জন্য ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হত দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের মাঝে ১০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল বিতারণ করা হচ্ছে। আর সেই গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষের চাল নিয়ে রাজশাহীর তানোর মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজন প্রীতির গুরুত্বর অভিযোগ। জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভিজিএফ'র চাল মুন্ডুমালা পৌরসভার ৩ হাজার ১১০শ জন পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতারণ করা হয়েছে। তবে সেই গরীব অসহায় মানুষের চাল নিয়ে বিদ্রোহী মেয়র সাইদুর ওরুফে (কুলি) সাইদুর স্বজন প্রীতি করে তার ইচ্ছে মতো নিজস্ব ব্যাক্তিগত লোকদের দিয়েছেন। এতে করে যারা বিদ্রোহী মেয়র সাইদুরের পক্ষে ভোট না করে নৌকার পক্ষে ভোট করেছে বা ভোট দিয়েছেন তাদের চাল দেয়া হয়নি। শুধু তাই নয়,এমনকি ডিআর অফিস থেকে দলীয় গরীব অসহায় দরিদ্র কর্মীদের মাঝে ৯শ কার্ডের চাল দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হলে তা বিদ্রোহী মেয়র সাইদুর প্রত্যাখান করে তার ইচ্ছে মতো চাল বিতরণ করেছেন। ফলে বিদ্রোহী মেয়রের এমন জঘন্য কান্ডে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে সমালোচনার ঝড়। সেই সাথে মুন্ডুমালা পৌরবাসীর মধ্যে চাপাক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমানের ব্যাপক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।বিদ্রোহী মেয়র সাইদুরের এমন জঘন্য কান্ডে যেকোন সময় প্রতিবাদ জানিয়ে দিতে পারেন গণপিটুনি।

মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৬৭ ভোটে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সেন্টারে ফেল হওয়া  আমির হোসেন আমিন বলেন,স্হানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের অনেক অসহায় দরিদ্র কর্মী থাকে, যাদের প্রতি ঈদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ভিজিএফএর চাল বিতরণ করা হতো,কিন্তু এবার বিদ্রোহী মেয়র হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ভিজিএফ'র চাল থেকে বঞ্চিত করেছেন সাইদুর রহমান। তিনি নিজের ইচ্ছায় এ কাজ করেছেন। মুন্ডুমালা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শত শত কর্মীদের চাল না দিয়ে বিএনপি জামাত ও নিজের পছন্দ মতো মানুষদের ভিজিএফের চাল বিতারণ করেছেন। আর বঞ্চিত হওয়া মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের কর্মীরা স্থানীয় সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এবিষয়ে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঘটনাটি দুঃখজনক,বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।