দুলাল সরকার, সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রতিনিধি ;; পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ও পাঠদানের সার্বিক বিবেচনায় ২০২৪ সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে নীলফামারী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা পেয়েছি। এবার দিনাজপুর বোর্ডের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছি। গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের গর্ভনিং বডির নবনিযুক্ত সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ লায়ন শফিয়ার রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। লায়ন শফিয়ার রহমান আরও বলেন, শিক্ষকদের মান উন্নয়নসহ সৈয়দপুর বাসীর জন্য এটা হবে শ্রেষ্ঠ অর্জন। এর জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছি। পরিকল্পিত ভাবে উন্নত পাঠদানের মাধ্যম ইনশালাহ অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। এর জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের আদেশে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে মনোনয়োন দেওয়া হয় কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমানকে। ২৮ আগষ্ট বোর্ডের একটি দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে তাকে অবগত করা হয়। পরের দিন ২৯ আগস্ট লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির নতুন সভাপতি হিসাবে লায়ন মো. শফিয়ার রহমানকে বরণ করে নেয় লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মশিয়ার রহমানসহ লায়ন্স ক্লাব অব সৈয়দপুরের সভাপতি লায়ন মো. জাকির হোসেন মেনন, লায়ন হাজী আনোয়ার আলী, লায়ন আলী ইমাম, লায়ন পৌর কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেনসহ অন্যান্যরা। এর আগে একই পদে আসীন ছিলেন লায়ন রেয়াজুল আলম রাজু। তিনি মৃত্যুবরণ করায় পদটি শুণ্য হয়। ওই পদ নিয়ে চলে লবিং গ্রুপিং। বিষয়টি দিনাজপুর বোর্ড কে অবহিত করা হয়। দিনাজপুর বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি পত্রে লায়ন রেয়াজুল আলম রাজুর মৃত্যুর পর গভর্নিং বডির অবশিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত শফিয়ার রহমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে নির্দেশনা দেয়। জানা যায়, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারন্যাশনাল লায়ন্স ক্লাবস জেলা ৩১৫এ ২ বাংলাদেশ এর অধীনে ১৯৮৩ সাল থেকে লায়ন্স ক্লাব অব সৈয়দপুর কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে। উচ্চ মাধ্যমিক হিসাবে যাত্রা শুরু করা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯৯৩ সালে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে প্রথমবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২০০৯ সালে এটি কলেজে উন্নীত করার পর ২০১১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রথমবার অংশ নেয় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আর বারেই চমকজাগানিয়া ফলাফল করে। সেবার দিনাজপুর বোর্ডে অষ্টম এবং নীলফামারী জেলায় পঞ্চম স্থান লাভ করে। এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকে। শহরের বিমানবন্দর সড়কের পাশে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে ও মানসম্মত ভাবে পাঠদানের কারণে এ অঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে শিখরে অবস্থান করছে। ফলে এ জনপদের ছাড়াও প্রতিবেশি জেলা উপজেলার শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখার জন্য আসছেন।