স্টাফ  রিপোর্টার ॥ রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, দেশীয় সার ও গবাদি পশু তৈরী হয়েছে, এতে আমিশের ঘাটতি পুরণ করে গত কুরবানী ঈদের পরেও প্রায় ৬ লাখ গবাদি পশু উদ্বৃত্ত হয়েছে। এটা একটা আমাদের দেশের জন্য বড় সাফল্য। যা দেশে আমিষের ঘাটতি পুরণ করা ও নিজে সয়ংসম্পন্ন হওয়ার জন্য এটা একটা বড় অর্জন। ওয়াল্ড ভিশন রংপুর এরিয়া অফিস কর্তৃক প্রদানকৃত প্রাণিটির যতœ নিন। সংসার ও পরিজনদের নিয়ে নিজেরাই সয়ংসম্পন্ন হয়ে উঠুন।

গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের জুম্মাপাড়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রংপুর এরিয়া কোÑঅর্ডিনেশন অফিসের আয়োজনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করনের লক্ষে গাভী বিতরণ কর্মসূচি-২০২৩ এর অংশ হিসেবে নগরীর ৩টি ওয়ার্ডের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বকনা গরু বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তরব্য এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা নগরীর ২৩, ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৪৬ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৪৬টি বকনা গরু বিতরণ করেন।

বকনা গরু বিতরণ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ লিটন পারভেজ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রফিকুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মোঃ হাসনা বানু, জেলা প্রাণী সম্পদ এর এডিএলও ড. মোঃ জুবায়দুল কবীর, উপজেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তা ডা. মোঃ রহমত আলী।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রংপুর এরিয়া কোÑঅর্ডিনেশন অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার অনুকুল চন্দ্র বর্ম্মণ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত বকনা গরু বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রংপুর এরিয়া কোÑঅর্ডিনেশন অফিসের লাইভলীহুড  প্রকল্পের টেকনিক্যাল স্পেশালিষ্ট মোঃ তাহমিদুর রহমান, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার দানিয়েল সরকার ও স্থানীয় সমাজ সেবক মাহামুদ হাসান সোহেলসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

দরিদ্র ও অতি দরিদ্র এই পরিবারগুলোকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে আল্ট্রা পোর গ্রাজুয়েশন (ইউপিজি) প্রজেক্ট মডেল ব্যবহার করে আগামী ২ বছর তাদের সাথে কাজ করতে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও নগর উন্নয়ন কমিটি ও আন্তর্জাতিক বে-সরকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। পরিবার গুলোকে ইতি পূর্বে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নগর উন্নয়ন কমিটির সহযোগিতায় নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি পরিবারের প্রতিনিধি সদস্য ২দিনের গাভী পালন প্রশিক্ষন শেষে একটি করে বকনা গরু পেয়ে খুবই আনন্দিত ও উৎসাহিত হয়েছে।  উল্লেখ্য, যে রংপুর এপি চলতি বছরে মোট ১৪৪টি বকনা গরু বিতরন করছে।