মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে আলাদা স্থান থেকে এক মাদরাসা ছাত্র সহ দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো, জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে মোঃ হেমায়েতুল্লাহ প্রকাশ সিয়াম (১৪) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ধন্যপুর গ্রামের হাজী বাড়ির মৃত আবুল ওয়াদুদের ছেলে মোঃ রুহুল আমিন (৫৫)। সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সোনাইমুড়ী থেকে উদ্ধারকৃত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে হাতিয়া থেকে উদ্ধারকৃত লাশ মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

জানাগেছে,সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সিয়াম। একই দিন সকাল সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিষপান করে আত্মহত্যা করে রুহুল আমিন। পুলিশ ও স্থানীয় স‚ত্রে জানা যায়, পরিবারের সদ্যদের অগোচরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দেয় সিয়াম। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলক্সেএ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে হাতিয়ার উকিলপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ খানায় পড়াশুনা করত। তার ১৬ পারা কোরআন মুখস্ত ছিল।

অপরদিকে,একই দিন সকাল সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিষপান করে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে রুহুল আমিন। পরে পরিবারের লোকজন তার মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে তাকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সকাল ১০টার দিকে সে কুমিল্লায় মারা যায়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউল হক ও হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস। উভয় ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শকন করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।