ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এর ঘোষণা দেয় চিকিৎসকরা। তবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা আশ্বাসে জরুরি বিভাগ চালু হলেও এখনও বহির্বিভাগ সেবা বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার কাজী আবু সাঈদ। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সকাল থেকে বহির্বিভাগের চিকিৎসা সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
বহির্বিভাগের গাইনি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. রাজিব বলেন, আমাদের চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা। পরে নিরাপত্তা এবং দোষীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাসে জরুরি বিভাগ সেবা চালু হয়। তবে আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, ৩১ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরে ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা।
একই দিন মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। তখন অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।
পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা। এতে করে নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। আলটিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।
এদিকে, ঢামেক হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসকের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা হয়। মামলায় বেসরকারি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষকসহ তিন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢামেক হাসপাতালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।