নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
ভেজাল খাদ্যে সয়লাভ বাজার, নেই বাজার তদারকির ব্যাবস্থা। আগে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও বর্তমানে মাছ, সবজি ও ফল বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সে কার্যক্রম। রমজানের শুরু আগেই ভেজাল ও নকল পণ্যে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা ও ভবানীগঞ্জ সদর সহ সর্বত্র বাজার গুলো সয়লাব হয়ে পড়েছে। এসব পন্য ক্রেতাদের হাতে তলে দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। গুণগত মানের দিক থেকে এসবে পণ্য নিম্ন মানের এবং অধিকাংশই জীবানু যুক্ত। এসব খাদ্য খেয়ে উপজেলার মানুষের মধ্যে নানা ধরনের রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়ছে। সাধারন মানুষের নিত্য ব্যবহারয্য যেমন, আটা,ময়দা, মাছ মাংশ, তেল, চিনি, লবণ ইত্যাদি খাদ্য গ্রহন যেন সকলেরই গাসয়া হয়ে গেছে। গরুর মাংশের সাথে মহিষের এবং খাসির মাংশের সাথে ভেড়ার মাংশ মিশিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে বাজারে। পঁচা মাছে লাল রং ছাপিয়ে তাকে সতেজ রুপ দিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে আহরহ। চালের সাথে পাথরের কণা, সর্ষের তেলের টিনে মবিল তেল, ঘি, মাখনে পশুর চর্বি। সয়াবিন তেলে অশোধিত পাম তেল সহ ভেজাল লাচ্ছা সেমাইসহ উপজেলার সর্বত্র বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে। এই ভেজাল পন্য উৎপাদন মান যেমন নিম্ন মানের তেমনি উৎপাদিত মান সম্পন্ন খাদ্য আবার হাত বদলের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে ভেজাল মিশানো হয়।
যাতে উৎপাদন এবং মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ অনুমোদিত কারখানা ও মোড়ক উল্লেখ না থাকা এবং ঐসকল পন্য কি উপাদান দিয়ে তৈরী তা কোন কিছুই উল্লেখ করা নেই। তা স্বর্তেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে নিরবিগ্নে বাজার জাতের চলছে এক মহা উৎসব। কার্বহাইড্রের ধুয়ায় পাকানো কলা তার স্বাভাবিক চেহারা ও চরিত্র হারায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছক কয়েকজন ব্যবসায়ী অবশ্য বাজারে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করার কথা স্বীকার করেছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন। এসব খাদ্যদ্রব্য তাদের হাতে এসে পৌছার আগেই ভেজাল মেশানো হয়ে যায়। ফলে জেনেশুনে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করতে বাধ্য হয় তারা। উপজেলার মাংশ বিক্রেতারা যততত্র ও অস্বাস্থকর পরিবেশে পশু জবাই করছে বলে পরিবেশ যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি ছড়াচ্ছে নানা ধরনের রোগ। পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রেও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের চরম উদাশিনতায় মাংশ বিক্রেতারা অপ্রাপ্ত অধিক বয়স এবং রোগাক্রান্ত পশু জবাই দীর্ঘ সময় ধরে করে আসলেও এই সংক্রান্ত স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগটি একেবারেই নিরব বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। নিয়ম অনুয়ায়ী স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তকর্তার উপস্থিতিতে কেবল সরকারি জবাইখানাতেই পশু জবাই করতে হবে। উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জবাই করা পশুর মাংশে সংম্লিষ্ট বিভাগের সিলে মহর লাগিয়ে দেওয়ার পরই তা বাজারে বিক্রয় করার অনুমদোন পায়। কিন্তু মাংশের বাজার গুলোতে কোথাও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে অহরহ ঠকতে হচ্ছে ক্রেতাদের। খাদ্য দ্রব্যের মান অনুমোদন বাধ্যতামূলক হলেও লাইসেন্স বিহিন বি.এস.টি.আই এর অনুমোদন না নিয়েই এই সব ভেজাল সেমাই কারখানায় পণ্যের মোড়কে বি.এস.টি.আই এর সীল ব্যবহার করে ক্রেতাদের প্রতারিক করা হচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। এলাকার তথ্যাভিঙ্গ মহলের বক্তব্য প্রশাসনের নাকের ডগাই এসব প্রতিষ্ঠান ভেজাল পন্যসহ অন্যান্য খাদ্যের ব্যবসা করলেও এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। এক শ্রেণির অসাধু সেনেষ্টারী কর্মকর্তা এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নিয়মিত উৎকচ গ্রহণ করে থাকে বলে ঐ সূত্র জানান। ফলে ভোক্তারা বাধ্য হয়েই অনেক অখাদ্য গলদ করণ করছেন। সব মিলিয়ে বাগমারার সবত্র বাজার গুলোতে চলছে ভেজালের এক মহা উৎসব। তবে এবিষয়টি নিরসন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.