শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা, জমির মালিক না হয়েও অন্যের জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জবরদখল অতঃপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন এলাকার চিহ্নিত প্রতারক মৃত আলী মোর্তজার পুত্র মোঃ আব্দুল মুহিত। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শার গোপালপুর গ্রামে। এলাকার চিহ্নিত প্রতারক ও ভুমি দস্যু জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ১১৪ নং কালিয়ানি মৌজার ১৪৫ নং এস এ খতিয়ানের মালিক মুনসুর আলী পিতা মৃত আব্দুল বিশ^াস ২৮১৮ দাগের ৩৭ শতক জমির প্রকৃত মালিক। অথচ আব্দুল মুহিত মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে দলিল লেখকদের মাধ্যমে উক্ত জমি মুনছুর আলীর নামিয় জমি জাল জালিয়াতি করে বিক্রয় করেছে মর্মে একটি দলিল রচনা করেছেন - যাহার দলিল নং - ৬০৩ তাং ১৫/০১/৬৮। একই দিনে একই তারিখে প্রতারক আব্দুল মুহিত জালিয়াতির মাধ্যমে ৩টি কোবলা দলিল তৈরি করে যার কোন অস্তিত্ত পাওয়া যায়নি, যশোর জেলা রেজিষ্টারের রেকর্ড ক্রমে।১৯৬৮ সালে দেশ স¦াধীনের পূর্বে জমি চানতারা ষ্ট্যাম্প দিয়ে দলিল রেজিঃ সম্পাদন করা হতো। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স¦াধীন হওয়ার পর শাপলা মার্কা ষ্ট্যাম্প দিয়ে জমি রেজীঃ সম্পাদন করা হচ্ছে অদ্যবধি। অথচ প্রতারক ও ভুমি দস্যু আব্দুল মুহিত তৎকালিন স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার কারনে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে শাপলা ষ্ট্যাম্প দিয়ে ১৯৬৭ সালে ভুয়া ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মুনছুর আলির সমুদয় জমি কবলা দলিল তৈরি করে রেজীঃ করে নেয়। বর্তমানে আব্দুল মুুহিত ঐ জমি দখল কারে চাষাবাদ করছে। এদিকে মুনসুর আলীর ওয়ারেশ-গন এ খবর জানতে পেরে যখন রেকর্ড রুমে খোজ খবর (৬০৩ নং কাবলা দলিলের ) ও তল্লাশি করছে , রেকর্ড রুমে ঐ দলিলের কোন হদিস বা অস্তিত্ত পাওয়া যায়নি। ভুমি দোস্যু আব্দুল মুহিত পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মুনসুর আলীর ওয়ারেশ ইমানুর রহমান গংদের জব্দ করার জন্য একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা করেন। বিষয়টি মুনছুর আলীর পক্ষে ইমানুর রহমান গং জেলা প্রশাষক ও পুলিশ সুপার, যশোর বরাবর সুবিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করার পর শার্শা থানার ওসিকে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। নির্দেশ মোতাবেক আব্দুল মুহিতকে জমির কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ নোটিশ প্রদান করেন। আব্দুল মুহিত থানায় হাজির হয়ে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে মুনছুর আলীর পক্ষে ইমানুর রহমান গং- যখন আব্দুল মুহিতের জাল দলিলের খোজ খবর নিচ্ছিল তখন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আব্দুল মুুহিতের আপন ভাগ্নে সুলতান মোড়লকে দিয়ে মামলার বাদি সাজিয়ে একটি মিথ্যা মামলা করে - ইমানুর রহমান রফিকুল ও জিয়াউর রহমান সর্ব পিতা মোকাম্মেল বিশ^াসের নামে। শার্শা থানার এস. আই. মুুরাদ হোসেন মোটা অংকের বিনিময়ে তদন্ত করে আদালতে বাদির পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যাহার মামলা নং ৫/১২৬, তাং- ২/৬/২০১৩। এলাকা বাসির অভিযোগ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি চাষাবাদ ও দখলে রাখার জন্য আব্দুল মুহিত ও তার ভাগ্নে সুলতান মোড়ল কে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। যাতে বিবাদিরা কখনই ঐ জমিতে আসতে না পারে। এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আলী মোর্তজার পুত্র আব্দুল মুহিতের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.