সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : তীব্র খড়া শেষে বেশ কয়েকদিনের বৃৃষ্টি শেষে পুরোদমে ব্যস্ত আমন চাষিরা। বৃষ্টির পানিতে শুকিয়ে থাকা খাল, বিল ও জলাশয়ে পানি পানি। তীব্র খড়ায় শুকিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষেতেও ফিরে এসেছে আর্র্দ্রতা। নিচু জমিতে জমেছে বৃষ্টির পানি। আর এই সময়টায় রোপা আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত, চাষাবাদ ও ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পারকরছেন চাষিদের। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা নদীর পাড়ের জমিসহ ফসলি জমিতে ধান রোপণ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিষ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের সাড়ে ১৮হাজার ১৭২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে নতুন নতুন ফল বাগান তৈরির ফলে গত বছরের তুলনায় ২শ’ ২৮হেক্টর কম হয়েছে বলে দাবী কৃষি অফিসের। মূলত জুন-জুলাই মাস আমন ধান রোপণের সময়। এবছর বৃষ্টিপাতও পিছিয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে কৃষকরা আমনের চারা রোপণ শুরু করেছেন।
উপজেলার দশমিনা, বাঁশবাড়িয়া, চর-বোরহান, আলীপুরা, রনগোপালদী, বেতাগী সানকিপুর ও বহরমপুর এলাকায় আমনের ফলন ভালো হয়। এসব এলাকার কৃষকরা রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করছেন বিস্তীর্ণ জমিতে। বৃষ্টি থাকায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। ফসলি জমিতে বৃষ্টির ফলে ধান রোপণ সহজ হয়েছে বলেও জানান কৃষকরা।
দশমিনা সদর ইউনিয়নে ২নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান জানান, জমিতে আমন ধানের চাষ করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে টানা খড়া থাকায় সেচ দিয়ে জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছিলাম। পরে বৃষ্টি শুরু হলে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। তিনি আরো বলেন-গত বছর প্রায় ৯একর জমিতে রোপা আমন চাষ করছি। এতে আমার ব্যয় হয় প্রায় ১লাখ টাকা আয় বিক্রিতে ২লাখ ৫০হাজার। আর চলতি বছর ১০একর জমিতে আমন চাষ করছি। এতে ব্যয় ১লাখ ৫০হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি বিভাগের নির্দেশনায় আমরা আমন চারা রোপণ করে আসছি।
আরেক কৃষক শংকর চন্দ্র জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ২একর জমিতে আমন ধান চাষ করছি। পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি পাওয়ায় চাষাবাদে কোনো অসুবিধা হয়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনও বেশ ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর আহম্মেদ বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা বর্তমান পুরোদমে আমন ধানের চারা লাগানোর ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া বর্তমান অনুক‚লে রয়েছে। আর আমরা চাষিদের চারাগুলো লাইন করে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি আউশের মতোই আমনেরও বাম্পার ফলন হবে।