প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৯, ২০২৪, ৮:০৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
তানোরে বিলের জমিতে বোরো চাষে কৃষকের ভরসা স্যালোমেশিন
![](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/02/IMG_20230211_180919.jpg)
সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোর বিলকুমারী বিলে বোরো চাষের জন্য কৃষকের একমাত্র ভরসা ডিজেল চালিত স্যালোমেশিন। আবার দু'একজনের ব্যক্তিগত ভাবে বানিজ্যিক মটর স্থাপন করা থাকলেও হার বেশির জন্য মটরে সেচ দিতে পারে না কৃষকরা। এতে করে কৃষকের একটু বেশি খরচ হলেও কোন সমস্যা মনে না করে স্যালোমেশিনে সেচ দিচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার বিলকুমারী(শিবনদী) বিলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিবনদী ব্রীজ থেকে কামারগাঁ,ট্যাংরা,চৌবাড়িয়া ব্রীজ পর্যন্ত বোরো চাষের জন্য ডিজেল চালিত স্যালোমেশিন খালের ধারে সারি সারি করে রাখা রয়েছে।
জানা গেছে, বিলের বোরো জমি চৈত্র মাসের দিকে তীব্র খরার প্রর্কোটে ব্যাপক তাকে ফেটে চৌচির হয়ে পড়ে। যার জন্য দু-এক দিন পর পর বিলের বোরো জমিতে সেচ দিতে হয় কৃষকদের। ফলে বিলে কোন সেচ মটর পাম্প না থাকায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে ঘন্টা চুক্তিতে স্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে করে বোরো চাষে কৃষকের বিঘা প্রতি সেচের খরচ পড়ছে তিনগুণ বেশি। ডিজেল চালিত স্যালোমেশিন দিয়ে ঘন্টা চুক্তিতে কৃষকের একেক বিঘা জমিতে বোরো চাষের খরচ হচ্ছে ৩হাজার থেকে সাড়ে ৩হাজার টাকা। যা সেচ মটরের মাধ্যমে সেচ দেয়া হলে খরচ পড়তো ১হাজার টাকা থেকে ১২শ টাকা। আর ব্যক্তিগত বানিজ্যিক মটরে সেচ দিতে নেয়া হচ্ছে ৪হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৪হাজার টাকা। বেশকিছু কৃষক জানান,বিলে সেচ মটর স্থাপন না থাকায় অতিরিক্ত হারে ব্যক্তিগত মটরে সেচ দিয়ে তেমন ফলপ্রসূ হয়না কৃষকের। খাড়িতে যেটুকু পানি বেঁধে জমানো থাকে সেই পানি স্যালোমেশিন দিয়ে উত্তলন করে বোরো জমিতে সেচ দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে বিলের যে অবস্থা তাতে আগামীতে বোরো চাষ করাই কষ্টকর হয়ে পড়বে কৃষকের। কৃষক আইয়ুব আলী জানান, অনেক কৃষক বিলের জমিতে বোরো ধান চাষ করে সারাবছর জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। পাশাপাশি বিলে মাছ শিকার করে মৎস্যজীবী জেলেরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দিন দিন যে ভাবে বিলের খাড়িও ভরাট হয়ে যাচ্ছে তাতে বিলের খাড়ি খনন করা নাহলে বিলের জমিতে কৃষকের বোরো ধান চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সাথে জেলেদেরও জীবিকা নির্বাহ কষ্টকর হয়ে পড়বে। সরকারের সুদৃষ্টি দিয়ে যদি বিলটি খনন করা হয় তাহলে একদিকে কৃষক বাঁচবে অন্যদিকে খাদ্যের অভাব অনেক টা দূর হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, তানোরের বিলে অনেক জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়,কিন্তু বিলে সেচ মটর আছে কি না সে বিষয়ে আমার জানা নেই,বর্তমান সরকারের আমলে কৃষকের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখে কাজ করেছে। কৃষকের সুবিধার জন্য আমার সর্বোচ্চ দিয়ে বিলের জমিতে বোরো চাষের জন্য সেচ দেয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.