ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার সাংবাদিক লীগের ও রয়ের জেলার নেতারা প্রেসক্লাব ছেড়ে পালিয়েছে। ৫ আগষ্ট সোমবার দুপুর ১টার দিকে ভয়ে ক্লাবের সকল গুরুত্বপূর্ন কাগজ পত্র নিয়ে পালিয়ে যান তারা। গত তিন সপ্তাহ যাবৎ তাদের কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি।
ভোলা প্রেসক্লাবের প্রকৃত সদস্যরা জানান,কথিত সভাপতি হাবিবুর রহমান(বাংলার কন্ঠ),সাধারন সম্পাদক ও রয়ের জেলার নেতা অমিতাভ রায় অপু (দৈনিক যুগান্তর/আর টিভি),হোসাইন সাদী(দৈনিক দেশরুপান্তর/বৈশাখী টিভি),অচিন্ত্য মজুমদা(প্রতিদিনের বাংলাদেশ/ডিবিসি),জুয়েল সাহা (সংবাদ/যমুনা টেলিভিশন),এম সিদ্দিক উল্লাহ (এটিএন বাংলা টিভি),মোঃ লিটন (মাই টিভি),কামাল উদ্দিন সুলতানসহ কয়েক সাংবাদিক লীগের ও রয়ের নেতারা তোফায়েল আহন্মেদের নির্দেশে ২০২০ সালে নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির সাংবাদিকদের প্রেসক্লাব থেকে বেড় করে দিয়ে দখলে নিয়ে সাংবাদিক লীগের কার্যালয় বানান। তার পর থেকে শুরু করেন তাদের বানিজ্য। কেউ মালিক হয়েছেন মার্কেটের, কেউ করেছেন বাড়ি-গাড়ি। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন কয়েক কথিত সাংবাদিক। তাদের বানিজ্যে দিশেহারা হয়ে পরেন ভোলার সাথারন ব্যবসায়ী, অফিস পাড়া, চেয়ারম্যানরা, সাধারন জনতা,স্বর্ন চোরা চালানিরা, ফেরী ঘাট, লঞ্চ ঘাট, মাছ ঘাট, বালু চোরেরা, বিএনপি,জামাতসহ বিভিন্ন নেতারা। জনতার মাঝে তারা সাংবাদিকতার বিষ ঢেলে দিয়েছেন। এখন সাংবাদিক দেখলে ভোলার মানুষেরা অন্য চোখে দেখেন। প্রকৃত সাংবাদিক, বিরোধী রাজনৈতিক দলকে প্রেস ক্লাবে নিষিদ্ধ করেন তারা। ১৮-২৪ সালের কোটা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান করেন। ক্লাবের সামনে কোটা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতাকে প্রেসক্লাবের সামনে দাড়াতে দেননি তারা।
ক্লাবের একাউন্ডের, রেষ্টুরেন্ট, জিমনেসিয়াম ফ্লোর ও হল রুম ভাড়ার টাকা, টিভি, আলমিরা আতœসাৎসহ বিভিন্ন কুকর্মের অভিযোগ রয়েছে শত শত। ২৪ সালের ৫ আগষ্ট সোমবার শৈ^রাচার আওয়ামীলীগ সরকার পালিয়ে গেলে, দুপুরে ক্লাবের-চেক, জমা বই, রেজিষ্টার ও রেজুলেশনের সকল খাতা বই, চাদা আদায়ের রশিদ বই এবং গুরুত্ব পুর্ন কাগজ পত্র নিয়ে ভোলার সাংবাদিক লীগও পালিয়ে যান। কয়েক কথিত সাংবাদিক স্কুল ও কলেজে চাকরিও করেন। তারা ছুটি না নিয়ে কর্ম ক্ষেত্রে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। তারা কোথায় রয়েছেন তা তাদের পরিবারের সদস্যরাও জানেননা বলে জানান।
একটি সুত্র জানান, অমিতাভ রায় অপু লক্ষিপুরের এক গ্রামে রয়েছেন আর অন্যান্যরা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। কথিত এই র্দূনীতিবাজ সাংবাদিকেরা জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের পরামর্শে প্রকৃত সাংবাদিকদের ক্লাবের সদস্য পদ থেকেও বহিস্কার করে দেন। সব সময় তারা আওয়ামীলীগের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ক্লাবে অবস্থান করতেন। ক্লাবের নামে ইসলামী, সোনালী ও রুপালী ব্যাংকে ৪টি এ্যাকাউন্ড খুলে অস্বাবিক টাকা লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে। র্দূনীতিবাজ কথিত সাংবাদিক লীগ নেতারা পালিয়ে যাওয়া ভোলা জেলায় প্রশাসন ও ছাত্র-জনতার মধ্যে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। রয়ের নেতাদর অবিলন্বে গ্রেপ্তার করে বিচার দাবী করেছেন সাংবাদিক, ছাত্র-জনতাা।