সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি: সরকারি নির্দেশে অমান্য করে দিন দিন বাড়ছে বাল্য বিবাহের ঘটনা। সেইসাথে বিবাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ইং) পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মঠ পাড়া গ্রামের সিদ্দিক শেখের মেয়ে ও সুজানগর মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী নার্গিস খাতুন (১৩) কে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করিয়েছেন, স্থানীয় ইমাম ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্র শিক্ষক ওমর ফারুক। অপরদিকে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম সহকারী বিবাহ রেজিস্ট্রার (নায়েবি কাজী) নিয়োগ করে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিবাহ রেজিস্ট্রি করাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,বাল্য বিবাহের সম্পন্ন কারি ব্যক্তিকে বা সহকারী বিবাহ রেজিস্ট্রার দিয়ে অন্য এলাকায় বিবাহ রেজিস্ট্রি করাচ্ছেন এ ধরণের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ কে খবর দিয়ে, তাদের কে ধরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সাথে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিবাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন,বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি, কিছু দিন আগে এক বিবাহ রেজিস্ট্রার কে ধরে জরিমানা করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার জহুরুল ইসলাম বলেন,যদি কোন কেন্দ্র শিক্ষক যদি বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করে থাকেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্র শিক্ষক ওমর ফারুক বিবাহ সম্পন্ন করার কথা স্বীকার করে বলেন,ঐ মেয়ে কোথায় পড়াশোনা করে আমি জানি না। পৌরসভার ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম, সহকারী বিবাহ রেজিস্ট্রার (নায়েবি কাজী নিয়োগ) কথা অস্বীকার করে বলেন,আমি আমার খাতা অন্য কাউকে দেয়নি। সহকারী বিবাহ রেজিস্ট্রার মাওঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার ভাগ্নের বিবাহ রেজিস্ট্রি আমি করিয়েছি।
তবে কার খাতা নিয়েছেন সেই ব্যাপারে তিনি বিবাহ রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমান কাছে জানতে বলেন।ভায়না ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পৌরসভার ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলামের খাতা ব্যবহার করে ভায়না ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চর পাড়া গ্রামের আনিস শেখের কন্যা রুমি খাতুনের বিবাহ রেজিস্ট্রারের কাজ সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার রিয়াজুল ইসলাম রাসেল এবং ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার আরিফ বিল্লাহ বিভিন্ন সময়ে ভায়না ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রি করে থাকেন। আরিফ বিল্লাহ কিছু দিন আগে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও পৌরসভার বিবাহ রেজিস্ট্রার দের বিরুদ্ধে জালিয়াতির করে নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.