প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ৬, ২০২৪, ১২:৩৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ৫:২৮ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে রাস্তা মেরামত কাজে প্লান ও ডাস্ট মেশিনের কালো ধোয়ায় ফসলি জমি ও জনজীবন হুমকির মুখে
![](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/01/received_1600683087059857.jpg)
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে এলজিইডির রাস্তা মেরামত কাজে ব্যবহারকৃত ঠিকাদারের প্লান ও ডাস্ট মেশিন চালানোর কারণে তা থেকে নির্গত আগুনের ফুলকি, কালো ধোঁয়া, সাথে ছাই ও পাথর কুঁচিতে হুমকির মুখে ফসলি জমিসহ এলাকার পরিবেশ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাসব্যাপী দিনরাত সমানতালে প্লান ও ডাস্ট মেশিনের নির্গত আগুনের ফুলকি, কালো ধোঁয়া, ছাই ও পাথরের কুঁচিতে হুমকির মুখে পড়েছে আবাদি জমির ফসল গাছপালা ও ঘরবাড়ি।সেই সাথে আগুনের তাপে পুড়ে মরে যাচ্ছে জমির ফসল ও গাছপালা । এতে ওই এলাকায় বসবাসরত প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। মেশিন স্হাপন করা এলাকা সদর উপজেলার কুঁড়ি পাড়া গ্রামের আক্তার, সোনা উদ্দিন, রুস্তমসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এই মেশিন চালানোর ফলে এর কালো ধোঁয়ায় আমাদের বাড়িঘর অন্ধকার হয়ে থাকে। ছাই ও কুঁচি পাথর বা বালির কারণে কোনো কিছুই রান্না বান্না করে খাওয়া যায় না। পোশাক আশাক, বিছানাপত্র হাঁড়ি পাতিলে মিনিটের মধ্যে ছাই ও পাথর কুঁচি বা বালির স্তূপ হয়ে যায়। আবাদি জমির ফসল ও বিভিন্ন ধরনের গাছের ফলসহ গবাদিপশু পাখি এর কারণে মরে যাচ্ছে। এতে কয়েকদিনেই শিশু বৃদ্ধসহ অনেকেই শ্বাস কষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা কিছু বললে ঠিকাদারের পক্ষ থেকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়। কাজের ক্ষেত্রেও কিছু অনিয়ম ও ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। সঠিক গ্রেটেশন অনুযায়ী পাথর দেওয়া হচ্ছে না। পাথরের ডাস্টের ভিতর মিক্সিংয়ে বালির পরিমান বেশি দেওয়া হচ্ছে। সঠিক কম্পেক্টে কাজ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এলজিইডি সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী সীমান্তবাজার থেকে মহিষামুড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত এক কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ কি, ৪০০ মিটার সড়কের রিপিয়ারিং মেইনটেইন্সের কাজ পান নাটোরের মেসার্স মিম ডেভলপমেন্ট ইন্জিনিয়ারিং লিমিটেড। কিন্তু কাজ করছেন নাটোরের মেসার্স মিতা কনস্ট্রাকশন। উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার কাজ করার জন্য নির্মাণ সামগ্রী রাখাসহ প্লান ও ডাস্ট মেশিন বসানোর জায়গা হিসেবে কুঁড়িপাড়া জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্হানীয় আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বিজয় কুমার দাস পরিবেশ দুষিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও কাজে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সিডিউল অনুযায়ীই কাজ করা হচ্ছে। এলজিইডি'র উপজেলা প্রকৌশলী
আবুল কালাম আজাদ অনিয়মের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, জনগণের চলাচলের সুবিধার জন্য সাময়িক কিছু অসুবিধা মেনে নিতে হবে। তা না হলে আমাদের কাজ করা সম্ভব হবে না। সিরাজগঞ্জ এলজিইডি র নির্বাহী প্রকৌশলী মো শফিকুল ইসলাম বলেন, জনসাধারণের অসুবিধা হয় বা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় উক্ত মেশিন বসানো যাবে না। ফাঁকা জায়গায় বা জনবসতিহীন এলাকায় এমন মেশিন বসিয়ে কাজ করতে হবে। যদি এর কোনো ব্যতয় ঘটে এবং কাজে অনিয়ম হয় তাহলে বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। ছবি সহ
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.