নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা সহ ৩ টি মামলা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে শিমুলকে প্রধান আসামী করে ১৩৭জনের নামে নাটোর সদর থানায় আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, সহ-সভাপতি উমা চৌধুরী জলি, শিমুলের তিন ভাই, ব্যক্তিগত সহকারী আকরামুল ইসলাম, ভগ্নিপতি আমিরুল ইসলাম জাহান ও ভাগ্নে নাফিউল ইসলাম অন্তর, জেলা যুবলীগ সভাপতি এহিয়া চৌধুরী, ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজসহ ১৩৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে মামলার বাদী নিহত মেহেদী হাসান রবিনের মামা সোহেল রানা বাদী হয়ে নাটোর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৫ আগষ্ট মামলার প্রধান আসামী সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশে শহরের উত্তর বড়গাছা বড়মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্তরা মেহেদী হাসান রবিনকে তুলে নিয়ে গিয়ে সাবেক এমপির বাড়ীতে আটকে রাখে। শেখ হাসিনার পতনের পর সেই ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় এমপি সহ তার সহযোগীরা। এ সময় স্থানীয়রা রবিনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগষ্ট ভোরে মেহেদী হাসান রবিন মারা যায়।
এছাড়া সাবের এমপি শিমুলের নির্দেশে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ছোট হরিশপুর এলাকার বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা আবুল হাসেম গেদু বাদী হয়ে ৪৭ জনকে আসামী করে সদও থানায় মামলা করেছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন।
অন্যদিকে গত শনিবার ২০১৮ সালে নির্যাতনে বিএনপি নেতা আব্দুল বারী নান্নু নিহতের ঘটনায় নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুলকে প্রধান আসামি করে সিংড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল বারী নান্নুর স্ত্রী আসমা বেগম।
প্রসঙ্গত, এর আগে নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্কুলছাত্র ইয়াসিন ইসলাম হত্যার ঘটনায় গত রোববার (১৮ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ১১১ জনের নাম হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইয়াসিনের বাবা ফজের আলী।