আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর) : বিরলের দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিন্ন ভিন্ন দাবি উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট। বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ¦ মনজুরুল হাসান দুলুসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বহিরাগত কিছু সংখ্যক ছাত্র এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক হেনস্থার হাত থেকে রক্ষা এবং মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারীসহ আরো ৩ জন শিক্ষকের অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবি জানায়।
বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ ইপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদনে জানায়, আমরা বিরল সরকারি পাইট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ। আমরা আমাদের প্রধান শিক্ষক স্যার সহ অন্যান্য শিক্ষক মহোদয়ের সার্বিক ত্বাবধানে অত্যন্ত সু-শৃঙ্খলভাবে বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে আসতেছি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বহিরাগত কিছু সংখ্যক ছাত্র এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ আমাদের বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রবেশ করে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের সাথে বিভিন্নভাবে হেনস্থার শিকার করার এবং বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যকক্রমে বিঘœ ঘটানোর চেষ্টা করছে। আমরা আপনাকে বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকদের সম্মানহানী হউক এটা আমারা চাইনা এবং বিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘœ সৃষ্টি হউক এটাও চাইনা। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবেদনে জানায়, অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারীসহ প্রভাষক মোঃ আবু রাসেল হুদা, সহকারী অধ্যাপক আবু তাহের মোহাম্মদ মামুন ও প্রভাষক এ কে এম গোলাম কিবরিয়া অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত। তাই কলেজ সংষ্কারের ৬ দফা বাস্তবায়নসহ উল্লেখিত ৪ জনের পদত্যাগ চাই।