কোপা আমেরিকায় আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। এবার কানাডাও টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। দলটির কোচ জেসে মার্শের দাবি, বৈষম্যেরa শিকার হয়েছেন তারা। তার মতে, টুর্নামেন্টে কানাডার সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের মতো আচরণ করা হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার এই টুর্নামেন্টে কানাডা এবারই প্রথম অংশ নিয়েছে। অংশ নিয়েই খেলেছে সেমিফাইনাল। আর্জেন্টিনার কাছে প্রথম সেমিফাইনালে ২-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে কানাডা ১৪টি হলুদ কার্ড দেখায় সেখানে বৈষম্যের প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি, ‘কনকাকাফ দলগুলোর বেলায় প্রতি ফাউলের জন্য হলুদ কার্ডের হার ছিল অনেক বেশি।’ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হওয়া উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচটি এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনায়। ওই ম্যাচে কলম্বিয়ান সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন উরুগুয়ে খেলোয়াড়। উরুগুয়ের দাবি, তাদের পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করা হয়েছিল। যার প্রতিক্রিয়ায় স্ট্যান্ডে পাল্টা হানা দেন ডারউইন নুনেজরা। এই ঘটনায় উরুগুয়ে কোচ দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল ও আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন। উরুগুয়ের বিপক্ষে তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আগে কানাডা কোচ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, নিজেদের বেলায় এমনটা হলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তেন তারা, ‘অবশ্যই আমরা চাইবো না কোনো খেলোয়াড়ের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হোক। তবে এটা জানি আমার দল যদি এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতো, তাহলে কঠিন শাস্তি পেতে হতো।’ তার পরই তিনি জানান, টুর্নামেন্টে বর্ণবাদী গালিসহ দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়েছে কানাডার সঙ্গে, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের ঢুস দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সরাসরি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বর্ণবাদী গালিও দেওয়া হয়েছে... আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের মতো আচরণ করা হয়েছে।’