এবারের ইউরো দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও আলো ছড়াচ্ছেন লামিনে ইয়ামাল।স্প্যানিশ উইঙ্গারকে নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই শিশু ইয়ামালকে মেসির গোসল করানোর কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে প্রশ্ন উঠেছে এতদিন এই ছবি কোথায় ছিল? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেনের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালের আগে লামিনে ইয়ামালের মুখ থেকেই জানা গেলো, এতদিন ইচ্ছে করেই গোপন রাখা হয়েছিল সেসব ছবি।
৬ মাস বয়সী শিশু ইয়ামালের সঙ্গে মেসির সেই ছবিগুলো ২০০৭ সালের। ছবিতে উপস্থিত ছিলেন ইয়ামালের মা শেইলা এবানাও। এই মাসের শুরুতেই ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ফুটবল বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। ছবিগুলো ছিল মূলত চ্যারিটি ক্যালেন্ডারের। তখন ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ছবি তোলার কাজটি হাতে নেয় কাতালান পত্রিকা দিয়ারিও স্পোর্ট। কিন্তু এতদিন ছবি গোপন রাখার কারণ হিসেবে ইয়ামাল জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই, ওই বয়সে আমার মোটেও ধারণা ছিল না তখন আসলে কী হচ্ছে। আমার বাবা ছবিগুলো সংগ্রহে রেখেছিল।
যা কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কারণ হচ্ছে, কখনও চাইনি মেসির সঙ্গে আমার তুলনা হোক।’ মেসির মতো ফুটবলারের সঙ্গে তুলনার সুযোগ কেউ হারাতে চাইবে না। কিন্তু ইয়ামালের সেই পথে না হাঁটার যুক্তি ছিল, ‘ফুটবলের সব সময়ের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনায় কেউ বিরক্ত হবে না। কিন্তু এটা এমন একটা বিষয় যেটা নিজের বিপক্ষেই চলে যেতে পারে। কারণ কখনও তার মতো হওয়া সম্ভব নয়।’ অথচ ইয়ামাল না চাইলেও সেই তুলনাটা কিন্তু করছেন ফুটবল ভক্তরা।
ডান প্রান্তে বার্সেলোনার হয়ে বাম পায়ের উইঙ্গার হিসেবে তার চোখ জুড়ানো পারফরম্যান্সে মেসির সঙ্গে তার তুলনা চলতে থাকে শুরুতেই। ২০২৩ সালে ১৫ বছর বয়সে বার্সায় অভিষেকের পর গত মৌসুমে ৫০টি ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে আলো ছড়িয়েছেন বলে স্পেনের হয়ে দ্রুত আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার ডাক পড়ে। যার ধারাবাহিকতায় চলতি ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। শুধু কি তাই? সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে গোলদাতাও হয়ে যান মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে!