বিরলের মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ আরো ৩ জন শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন
আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর) : বিরলের মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ আরো ৩ জন শিক্ষকের অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত এই শিক্ষকগণকে দুপুর ২ টার মধ্যে কলেজে এসে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন। পরবর্তীতে তারা বেঁধে দেয়া সময়ে কলেজে না আসায় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারীসহ আরো ৩ জন শিক্ষক হলেন- ১) মোঃ আবু রাসেল হুদ (প্রভাষক), ২) আবু তাহের মোহাম্মদ মামুন (সহকারী অধ্যাপক) ও ৩) এ কে এম গোলাম কিবরিয়া (প্রভাষক)।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট ২০২৪ সরকারের পদত্যাগ ও পরবর্তীতে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে দূর্নীতিবাজদের অপসারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কলেজ সংষ্কারের ৬ দফা দাবি জানিয়ে মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের ছাত্র-ছাত্রীরা নিন্মোক্ত দাবি জানায়- ১) স্বৈরাচার সরকারের দলীয় কোন স্যারকে অধ্যক্ষ হিসেে চাই না। ২) কলেজে কোন রাজনৈতিক প্রভাব থাতবে না। সব স্যার অরাজনৈতিক ভ’মিকা পালন করতে হবে। ৩) গত কয়েক বছরে কলেজে সাধারণ পিয়নদের সাথে যে দূর্ব্যবহার এবং অন্যায় করেছে তা ক্ষমা চাইতে হবে। ৪) প্রশাসনিক ভ্রমনকে আমরা দূর্নীতি এবং ঘুষ মুক্ত চাই। কোন ব্যক্তি যদি দূর্নীতি বা ঘুষ নিয়েছে তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫) সব দায়িত্বশীল স্যারকে সঠিক সময়ে কলেজে এসে ক্লাস নিতে হবে। সমস্যা হলে অধ্যক্ষ স্যারকে জানাবে। ৬) কলেজে অফিসের কাজ ব্যতীত বহিরাগত ছাত্র/ছেলে প্রবেশ করতে পারবে না। কলেজে ধূমপান নিষিদ্ধ। কলেজের পরিবেশ শান্তি ও শৃঙ্খলা রাখতে হবে। কলেজে বখাটে ছেলেদেরও প্রতিরোধ করতে হবে।
অনিয়ম ও দূর্র্নীতির বিষয়ে ছাত্ররা জানান- ১) অফিসে সীমাহীন দূর্নীতি হয়েছে। কলেজের ফান্ড থেকে অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছে। নিয়োগে ব্যাপক বাণিজ্য হয়েছে। ২) নিজেদের ইচ্ছামত কলেজে এসেছেন এবং ক্লাস বিষয়ে কোন চর্চা বা সুদক্ষ ভূমিকা পালন করেননি। তার প্রমাণ হলো ইন্টারে ৩০-৪০ জন অকৃতকার্য। ৩) কলেজকে আওয়ামীকরণ করেছেন এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছেন ও রাজনৈতিক দাপট দেখিয়েছেন। ৪) সাধারণ ছাত্রদের কথা বলা বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন। যেমন- ভর্তির সময়, অন্যান্য কাজে। ৫) ২০১৯ সালে আইসিটি প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার সময় ঘুষ নেওয়ার প্রতিবাদ করায় সেই ছাত্রকে আইসিটি প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় অকৃতকার্য করে দিয়েছেন। আইসিটিতে প্রায় সবাই এ+ পায় প্রাকটিক্যালে। ভাইটির রেজাল্ট আইসিটি বিষয়ে অকৃতকার্য ছিল। ৬) নি¤œপরিবারের ছাত্রদের জন্য নতুন বই লাইব্রেরিতে সংগ্রহের কথা বললে, লাইব্রেরি ম্যাডাম অধ্যক্ষ স্যারকে বলতে বলে আর অধ্যক্ষ স্যার এর কছে গেলে স্যার বলে টাকা নাই।
এ ব্যাপারে কলেজের উপাধ্যক্ষ দেবেন চন্দ্র রায় জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ দাবি সম্বলিত লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। তিনি গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করবেন। আর অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারী ছুটির আবেদন দেয়ার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন বন্ধ রাখায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিরলের মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ আরো ৩ জন শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন
আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর)\
বিরলের মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ আরো ৩ জন শিক্ষকের অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত এই শিক্ষকগণকে দুপুর ২ টার মধ্যে কলেজে এসে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন। পরবর্তীতে তারা বেঁধে দেয়া সময়ে কলেজে না আসায় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারীসহ আরো ৩ জন শিক্ষক হলেন- ১) মোঃ আবু রাসেল হুদ (প্রভাষক), ২) আবু তাহের মোহাম্মদ মামুন (সহকারী অধ্যাপক) ও ৩) এ কে এম গোলাম কিবরিয়া (প্রভাষক)।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট ২০২৪ সরকারের পদত্যাগ ও পরবর্তীতে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে দূর্নীতিবাজদের অপসারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কলেজ সংষ্কারের ৬ দফা দাবি জানিয়ে মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের ছাত্র-ছাত্রীরা নিন্মোক্ত দাবি জানায়- ১) স্বৈরাচার সরকারের দলীয় কোন স্যারকে অধ্যক্ষ হিসেে চাই না। ২) কলেজে কোন রাজনৈতিক প্রভাব থাতবে না। সব স্যার অরাজনৈতিক ভ’মিকা পালন করতে হবে। ৩) গত কয়েক বছরে কলেজে সাধারণ পিয়নদের সাথে যে দূর্ব্যবহার এবং অন্যায় করেছে তা ক্ষমা চাইতে হবে। ৪) প্রশাসনিক ভ্রমনকে আমরা দূর্নীতি এবং ঘুষ মুক্ত চাই। কোন ব্যক্তি যদি দূর্নীতি বা ঘুষ নিয়েছে তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫) সব দায়িত্বশীল স্যারকে সঠিক সময়ে কলেজে এসে ক্লাস নিতে হবে। সমস্যা হলে অধ্যক্ষ স্যারকে জানাবে। ৬) কলেজে অফিসের কাজ ব্যতীত বহিরাগত ছাত্র/ছেলে প্রবেশ করতে পারবে না। কলেজে ধূমপান নিষিদ্ধ। কলেজের পরিবেশ শান্তি ও শৃঙ্খলা রাখতে হবে। কলেজে বখাটে ছেলেদেরও প্রতিরোধ করতে হবে।
অনিয়ম ও দূর্র্নীতির বিষয়ে ছাত্ররা জানান- ১) অফিসে সীমাহীন দূর্নীতি হয়েছে। কলেজের ফান্ড থেকে অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছে। নিয়োগে ব্যাপক বাণিজ্য হয়েছে। ২) নিজেদের ইচ্ছামত কলেজে এসেছেন এবং ক্লাস বিষয়ে কোন চর্চা বা সুদক্ষ ভূমিকা পালন করেননি। তার প্রমাণ হলো ইন্টারে ৩০-৪০ জন অকৃতকার্য। ৩) কলেজকে আওয়ামীকরণ করেছেন এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছেন ও রাজনৈতিক দাপট দেখিয়েছেন। ৪) সাধারণ ছাত্রদের কথা বলা বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন। যেমন- ভর্তির সময়, অন্যান্য কাজে। ৫) ২০১৯ সালে আইসিটি প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার সময় ঘুষ নেওয়ার প্রতিবাদ করায় সেই ছাত্রকে আইসিটি প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় অকৃতকার্য করে দিয়েছেন। আইসিটিতে প্রায় সবাই এ+ পায় প্রাকটিক্যালে। ভাইটির রেজাল্ট আইসিটি বিষয়ে অকৃতকার্য ছিল। ৬) নি¤œপরিবারের ছাত্রদের জন্য নতুন বই লাইব্রেরিতে সংগ্রহের কথা বললে, লাইব্রেরি ম্যাডাম অধ্যক্ষ স্যারকে বলতে বলে আর অধ্যক্ষ স্যার এর কছে গেলে স্যার বলে টাকা নাই।
এ ব্যাপারে কলেজের উপাধ্যক্ষ দেবেন চন্দ্র রায় জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ দাবি সম্বলিত লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। তিনি গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করবেন। আর অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারী ছুটির আবেদন দেয়ার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন বন্ধ রাখায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।