মোঃবুলবুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: অনুকুল আবহওয়া, ভালোবৃষ্টি, সঠিক পরিচর্চায় আমন ক্ষেতগুলি সবুজ ও পুরুষ্ট হয়ে উঠেছে । আর কিছু দিনের মধ্যই ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন বুনছে কৃষক।
কাইছথোড়, (পেটে শিষ থাকে) হওয়া ধান কেটে ইঁদুর সাবাড় করলেও প্রতিকার করতে পারছে না কৃষক। ইঁদুরের হাত থেকে ফসল রক্ষার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহন করেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
ধোর হওয়া ধান গাছ কেটে ভিতরের শিষের অঙ্কুর খাওয়া ইঁদুর গর্তে থাকেনা। এরা ডোবা লালার কুচুরিপানায়,জোপ-ঝাড়, জঙ্গলে ও গাছে বাস করে। রাতের বেলা ঔ সব এলাকা থেকে বের হয়ে ধান কেটে সাবার করে দিনের বেলায় পৃর্বের বাসস্থানে চলে যায়। এরা গর্তে থাকে না বলে বিষ বা গ্যাস টোপ দিয়ে মারা যায় না। এই ইঁদুর বিষমিশ্রত খাবারও খেতে চায় না।
দেখতে স্বাভাবিক ইঁদুর এর চেয়ে অনেক বড়।খুব দ্রুত চলাফেরা করতে পারে। ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা পেতে কৃষক ঝান্ডা লাগিয়ে বা কাক তাড়ুয়া দিয়ে ইঁদুর তারানোর চেষ্টা করছেন কৃষকরা।
দক্ষিণ বড়ভিটা গ্রামের কৃষক শ্রী সুজিত চন্দ্র রায় ও আনু ইসলাম পাঠান বলেন,ঝান্ডা বা কাক তাড়ুয়া দিয়ে ইঁদুরকে ভয় দেখিয়ে সাময়িক ধান কাটা থেকে বিরত রাখা যায়। পনিথিনের ঝান্ডা বাতাসে উড়লে এক ধরনের শব্দ হয়। সেই শব্দে ইঁদুর পালিয়ে যায়।
তবে এই ব্যবস্থা বাতাস উঠলে কাজে লাগে। আনু ইসলাম পাঠান বলেন, তার এক বিঘা জমির ধান থোড় হওয়া থেকে কেটেই চলছে।
অনেক জায়গায় ফসল রক্ষায় কৃষক রাত জেগে ফাঁসি জাল ও হাতে তৈরি ঢিকা ফাঁদ পেতে দু একটি ইঁদুর ধরছেন।
অনেকে টছলাইট জ্বালিয়ে রাতে ক্ষেত থেকে ইঁদুর তাড়াচ্ছেন। তবে কোন ব্যবস্থাই গেছো ইঁদুরের হাত থেকে শতভাগ ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না।
বড়ভিটা ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: আসরাফুল আলম বলেন, গ্রামের কৃষকদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী ফাঁদ দিয়ে অনেকেই গেছো ইঁদুর মেরেছেন। কলার পাতা আক্রান্ত স্থানে ফেলে রাখা, ইঁদুর থাকার স্থানের ঝোপ- ঝাড় পরিষ্কার করা ও ইঁদুরের গর্তে সরিষা দেওয়া ও ইহা ছাড়াও জিংঙ্ক ফসপেট ২ দিয়ে ইঁদুর তাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা : ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক ও প্রকাশক : একরামুল হক বেলাল
ঢাকা অফিস- ২২, মা ভিলা ,পূর্ব তেজতুরী বাজার, ফার্মগেট-১২১৫। ইমেইল-spnews17@gmail.com, রেলওয়ে পার্ক,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। ০১৭১২৩৭০৮০০
© 2023 Spnewsbd. All rights reserved.