ভোলা প্রতিনিধিঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর (৫ আগস্ট) সোমবার দুপুরের পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের আজো খুজে পাওয়া যায়নি। ১ জেলা পরিষদ, ৭ উপজেলার চেয়ারম্যান( সদরের মোঃ ইউনুছ বাদে), ৫ পৌরসভা ও ৭১ ইউনিয়নের মধ্যে-সদরের ৪ জন চেয়ারম্যান-রেজাউল হক মিঠু (রাজাপুর), আনোয়ার হোসেন ছোটন(পূর্ব ইলিশা) মোঃ মহিউদ্দিন মাতাব্বর(চরসামাইয়া) ও মোঃ মোস্তফা কামাল (ভেদুরিয়া) বাদে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা লাপাত্তা হয়েছেন। এতে জনসাধারণ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সরকারী সেবা গ্রহণের জন্য পরিষদে গিয়ে সব বন্ধ পান, তারা পরেন বিপাকে। তার সাথে প্রায় ইউনিয়নের সচিবও অফিস করেননি।
সেবা প্রত্যাশীরা জানান, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ, পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-আনোয়ার হোসেন ছোটন, রাজাপুর ইউনিয়নের-রেজাউল হক মিঠু, চরসামাইয়া ইউনিয়নের-মোঃ মহিউদ্দিন মাতাব্বর ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের-মোঃমোস্তফা কামাল ছাড়া অন্য সকল চেয়ারম্যা ও মেম্বারদের কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। কাউকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি,এমনকি তাদের মুঠো ফোনও বন্ধ রয়েছে। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে প্রয়োাজনীয় অনেক কাজ নিয়ে জনসাধারণ বিপাকে পড়েছেন।
তবে কিছু কিছু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারা আতœগোপনে থেকে স্বাক্ষর করে জনসাধারণকে সেবা দিচ্ছেন বলেও জানান। এসময় স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, (৫ আগস্ট) সোমবার দুপুরের পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের আজো খুজে পাওয়া যায়নি। লোকজন প্রতিদিন এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে অপেক্ষা করেও সেবা না পেয়ে ফিরে যান। ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মমিন টুলুসহ ২০ সদস্য, সদর উপজেলা ১ চেয়ারম্যান বাদে, ৭ উপজেলার সকল চেয়ারম্যান, ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা অফিসে ফিরেননি। সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা কোথায় রয়েছেন, কেউ বলতে পারছেন না। এদিকে কার্যালয়ে না বসার কারণে পরিষদের সব কাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে। বঞ্চিত হচ্ছেন সব ধরনের নাগরিকসেবা থেকে। জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া বিভিন্ন সনদ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের মতো নাগরিক সেবা কার্যক্রম।
এসব ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সেবা প্রার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিষদে চেয়ারম্যান-মেম্বার না থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। চেয়্যারম্যান অনুপস্থিত থাকায় তার সাথে যোগাযোগ মাধ্যমও বন্ধ রয়েছে, কিছু কিছু চেয়ারম্যানকে ফোনে পাওয়া গেলে তারা যেখানে বলছেন সেখানে গিয়ে কাঙ্খিত সেবা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে খরচ হচ্ছে বাড়তি অর্থ ও সময়। পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীর জানান, তার একটি চরিত্র সনদের জন্য ইউপি কার্যালয়ে যান তিনি। চেয়ারম্যান কার্যালয়ে না থাকায় তিন দিন যাবত ঘুরছি। প্রায় চেয়ারম্যান ভোট ছাড়া নির্বাচিত ও র্দূনীতিবাজ। তাই তারা ভয়ে পালিয়ে গেছেন। জনদুর্ভোগ নিরসনে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দ্রæত কার্যালয়ে ফেরার অথবা বিকল্প ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ জানান,আমি আওয়ামীলীগের রক্ত চক্ষুর মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্ধিতা করে জনতার রায়ে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি। জনতাকে আমার সেবা দিতে হবে, আমি অফিসে বসে সেবা দিচ্ছি, যদি কেউ ভুল বুঝে আমার উপর হামলা করে তাতে আমার কোন দুঃখ থাকবেনা।
অন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত সদস্যদের মধ্যে কয়েক জনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
রাজাপুর ও পূবূ ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু ও আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, পরিষদে উপস্থিত থাকতে না পেরে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে বাড়ি থেকেই যতদ‚র সম্ভব সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি বুঝে পরিষদে উপস্থিত হবেন বলেন জানান তারা।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা প্রার্থীদের পুরোপুরি সেবা দিবেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, নাগরিক সেবা প্রদানে আমরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক কারণে হয়তো অনেক জনপ্রতিনিধিরা কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চেয়ারম্যান, সচিব, মেম্বার সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা উপস্থিত না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভোলায় অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি লাপাত্তা নাগরিক সেবা ব্যাহত
ভোলা প্রতিনিধিঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর (৫ আগস্ট) সোমবার দুপুরের পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের আজো খুজে পাওয়া যায়নি। ১ জেলা পরিষদ, ৭ উপজেলার চেয়ারম্যান( সদরের মোঃ ইউনুছ বাদে), ৫ পৌরসভা ও ৭১ ইউনিয়নের মধ্যে-সদরের ৪ জন চেয়ারম্যান-রেজাউল হক মিঠু (রাজাপুর), আনোয়ার হোসেন ছোটন(পূর্ব ইলিশা) মোঃ মহিউদ্দিন মাতাব্বর(চরসামাইয়া) ও মোঃ মোস্তফা কামাল (ভেদুরিয়া) বাদে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা লাপাত্তা হয়েছেন। এতে জনসাধারণ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সরকারী সেবা গ্রহণের জন্য পরিষদে গিয়ে সব বন্ধ পান, তারা পরেন বিপাকে। তার সাথে প্রায় ইউনিয়নের সচিবও অফিস করেননি।
সেবা প্রত্যাশীরা জানান, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ, পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-আনোয়ার হোসেন ছোটন, রাজাপুর ইউনিয়নের-রেজাউল হক মিঠু, চরসামাইয়া ইউনিয়নের-মোঃ মহিউদ্দিন মাতাব্বর ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের-মোঃমোস্তফা কামাল ছাড়া অন্য সকল চেয়ারম্যা ও মেম্বারদের কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। কাউকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি,এমনকি তাদের মুঠো ফোনও বন্ধ রয়েছে। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে প্রয়োাজনীয় অনেক কাজ নিয়ে জনসাধারণ বিপাকে পড়েছেন।
তবে কিছু কিছু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারা আতœগোপনে থেকে স্বাক্ষর করে জনসাধারণকে সেবা দিচ্ছেন বলেও জানান। এসময় স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, (৫ আগস্ট) সোমবার দুপুরের পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের আজো খুজে পাওয়া যায়নি। লোকজন প্রতিদিন এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে অপেক্ষা করেও সেবা না পেয়ে ফিরে যান। ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মমিন টুলুসহ ২০ সদস্য, সদর উপজেলা ১ চেয়ারম্যান বাদে, ৭ উপজেলার সকল চেয়ারম্যান, ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা অফিসে ফিরেননি। সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা কোথায় রয়েছেন, কেউ বলতে পারছেন না। এদিকে কার্যালয়ে না বসার কারণে পরিষদের সব কাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে। বঞ্চিত হচ্ছেন সব ধরনের নাগরিকসেবা থেকে। জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া বিভিন্ন সনদ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের মতো নাগরিক সেবা কার্যক্রম।
এসব ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সেবা প্রার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিষদে চেয়ারম্যান-মেম্বার না থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। চেয়্যারম্যান অনুপস্থিত থাকায় তার সাথে যোগাযোগ মাধ্যমও বন্ধ রয়েছে, কিছু কিছু চেয়ারম্যানকে ফোনে পাওয়া গেলে তারা যেখানে বলছেন সেখানে গিয়ে কাঙ্খিত সেবা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে খরচ হচ্ছে বাড়তি অর্থ ও সময়। পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীর জানান, তার একটি চরিত্র সনদের জন্য ইউপি কার্যালয়ে যান তিনি। চেয়ারম্যান কার্যালয়ে না থাকায় তিন দিন যাবত ঘুরছি। প্রায় চেয়ারম্যান ভোট ছাড়া নির্বাচিত ও র্দূনীতিবাজ। তাই তারা ভয়ে পালিয়ে গেছেন। জনদুর্ভোগ নিরসনে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দ্রæত কার্যালয়ে ফেরার অথবা বিকল্প ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ জানান,আমি আওয়ামীলীগের রক্ত চক্ষুর মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্ধিতা করে জনতার রায়ে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি। জনতাকে আমার সেবা দিতে হবে, আমি অফিসে বসে সেবা দিচ্ছি, যদি কেউ ভুল বুঝে আমার উপর হামলা করে তাতে আমার কোন দুঃখ থাকবেনা।
অন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত সদস্যদের মধ্যে কয়েক জনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
রাজাপুর ও পূবূ ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু ও আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, পরিষদে উপস্থিত থাকতে না পেরে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে বাড়ি থেকেই যতদ‚র সম্ভব সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি বুঝে পরিষদে উপস্থিত হবেন বলেন জানান তারা।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা প্রার্থীদের পুরোপুরি সেবা দিবেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, নাগরিক সেবা প্রদানে আমরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক কারণে হয়তো অনেক জনপ্রতিনিধিরা কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চেয়ারম্যান, সচিব, মেম্বার সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা উপস্থিত না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।