মামলার পর অভিযান চালিয়ে উপজেলার পরানপুর ইউপি'র শিশইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন নিহত রিফাতের স্ত্রী বিউটি আকতার (২৭), তার শাশুড়ি মোমেনা বেওয়া (৬০) ও স্ত্রীর ভাই মিন্টু হোসেন (৩০)।

নিহতের মা রোকেয়া বেগম জানান, গত ১১ মার্চ মান্দা উপজেলার শিশইল গ্রামের মৃত মছির উদ্দিন মন্ডলের মেয়ে বিউটি আকতারের সাথে ছেলে রিফাত শেখের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে  আসছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ছেলে রিফাতকে নিয়ে তিনি শিশইল গ্রামে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে আসেন।

মা রোকেয়া বেগম আরও বলেন, ‘বেয়ান বাড়িতে অবস্থানকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বেয়ান মোমেনা বেওয়া ও পুত্রবধূ বিউটির সাথে বাগ-বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ছেলে রিফাত রাগ করে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এর কিছু পরে আমিও সেখান থেকে রাজশাহীতে ফিরে যাই। ওইদিন বিকেল থেকেই ছেলে রিফাতের মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইলফোন বন্ধ ও বাড়ি না ফেরায় বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করেও রিফাতের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।’

রিফাতের পিতা  রুবেল শেখ বলেন, নিখোঁজের দুইদিন পর রোববার সকালে ছেলে রিফাতের লাশ আত্রাই নদে ভাসমান অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলের লাশ শনাক্ত করা হয়।

পিতা রুবেল শেখ দাবী করেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পুত্রবধূ বিউটিসহ তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ছেলে রিফাতের লাশ আত্রাই নদে ফেলে দেয়া হয়েছে।

মান্দা থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মেহেদী মাসুদ বলেন, নিহত রিফাতের পিতা বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে নিহতের স্ত্রী বিউটি আকতার, শাশুড়ি মোমেনা বেওয়াসহ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের ডিজিটালের মোড় সংলগ্ন এলাকায় আত্রাই নদ থেকে রিফাত শেখের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিফাত রাজশাহী মহানগরীর কাজীহাটা এলাকার রুবেল শেখের ছেলে। মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় দেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত ছিলেন তিনি।