সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল হবে। জাতির জন্য মঙ্গল হবে। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ একটি বেহায়া দল। তাদের মতো দল পৃথিবীতে কম আছে। পালিয়ে যেয়েও বলছে ষড়যন্ত্র করে তাকে খেদিয়ে দেয়া হয়েছে। ইউনসু ষড়যন্ত্র করে খেদিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি খুনি। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন হাসিনাকে বলেছে ডাইরেক্ট এবং ইনডাইরেক্টভাবে ১৫শ মানুষকে হত্যা করেছে। হাসিনা মনে করছে, আমরা দেশের পুলিশকে ধ্বংস করেছি, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছি ও প্রশাসন ধ্বংস করেছি। এখন ইউনুস সরকার এগুলো ঠিক করতে গেলে বিশৃংখলা হবে। আর এর মধ্যেই তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবে। তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলছি, দেশের মানুষের মঙ্গলের স্বার্থে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগনের ক্ষমতা জনগনের হাতে তুলে দিন।
টুকু বলেন, সরকার সংস্কারের কথা বলছে। আমরা বিএনপি সংস্কার নিয়ে বিশ্লেষন করেছি। তাদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছি। ইউনুস সরকার অনেক কিছু একবারে সংস্কার করতে চাচ্ছেন? কিন্ত সবতো একেবারে সংস্কার করা যায় না। ইউনসু সরকার গণপরিষদ চান? বাংলাদেশ তো নতুন করে স্বাধীন হয় নাই। বাংলাদেশে তো নতুন শাসনতন্ত্রের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে শাসনতন্ত্রের বুনিয়াদ আছে। যে শাসনতন্ত্রের ভিত্তিতে ইউনুস সরকার শপথ গ্রহন করেছে। তবে শাসনতন্ত্র বাইবেল নয়। শাসনতন্ত্র সংস্কার করা যায়। কিন্তু সেই শাসনতন্ত্র পার্লামেন্টে বসে সংস্কার করা যেতে পারে। এ জন্য গণপরিষদ লাগে না। গণপরিষদ লাগে একটি নতুন দেশে। যা বাংলাদেশে আগে হয়েছে। মুলত এগুলো হচ্ছে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা। আবার বলছে, সেকেন্ড রিপাবলিক। বাংলাদেশে তো রিপাবলিক আছে। সেকেন্ড রিপাবলিক কিসের দরকার। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। উনি সংবিধানে সংস্কার করেছেন। একদলীয় শাসন ছিল তা বহুদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন। সুতরাং এসব অযথা যুক্তি না দিয়ে জনগনের ক্ষমতা জনগনের হাতে তুলে দিন। না হলে জেলে বসে আওয়ামীলীগ নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে। ৩১ দফায় রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্ট ও দ্বিকক্ষসহ জাতীয় সরকার সবই রয়েছে। অএতব এগুলো নিয়ে বিতর্ক না করে সরাসরি নির্বাচনের দিনক্ষন ঘোষনা করেন।
তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্ররা বলেছেন-হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। এটা সম্ভব হবে না। কারন হাসিনার সুষ্ঠ বিচার করতে হলে অন্তত ৭ বছর পেরিয়ে যাবে। এতোদিন জনগন অপেক্ষা করবে না। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু করবেন না। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ফ্যাসিস্টদের পক্ষে আইনী লড়াই করবেন না। জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি এ্যাড. কে.এম. রায়উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. রফিক সরকার ও এ্যাড. হামিদুল ইসলাম দুলাল প্রমুখ।